spot_img

সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডে দুইজন অংশ নেয়: টাস্কফোর্সের প্রতিবেদন

অবশ্যই পরুন

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনিকে হত্যাকাণ্ডের বিভিন্ন আলামত নষ্ট এবং ডিএনএ নমুনা অস্পষ্ট হওয়ায় হত্যাকারীদের শনাক্ত করা কঠিন হচ্ছে। তবে চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডে দুইজন অংশ নেয় বলে জানিয়েছে তদন্তে গঠিত টাস্কফোর্স।

সম্প্রতি হাইকোর্টে দেয়া অগ্রগতি প্রতিবেদনে খসরা এসব তথ্য জানায় টাস্কফোর্স। পাশাপাশি তদন্তের জন্য আরও সময় চাওয়া হয়।

অগ্রগতি প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, প্রথমে সাগর ও পরে রুনিকে ছুরিকাঘাত করা হয়। হত্যার আগে সন্তান মেঘকে নিয়ে একই খাটে শুয়েছিলেন তারা। ভিসেরা রিপোর্টেও চেতনানাশক বা বিষজাতীয় কিছু পাওয়া যায়নি। দুইজনকে রান্না ঘরে থাকা ছুরি ও বটি দিয়ে হত্যা করা হয়। ক্ষত নিয়েও তারা অনেকক্ষণ জীবিত ছিলেন। এই দম্পতির বাসায় আগে থেকে কেউ ছিল না এবং জোর করেও কেউ প্রবেশ করেনি।

এদিকে টাস্কফোর্স প্রধান জানান, আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কোনও প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দেননি তারা। দায়িত্ব নেয়ার পরপরই বিভিন্ন আলামত সংগ্রহের চেষ্টা করছেন তারা।

এদিকে গত এপ্রিল মাসের ২২ তারেখ সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তে টাস্কফোর্সকে আরও ৬ মাস সময় দেন হাইকোর্ট। এর আগে, গত বছরের ২৩ অক্টোবর হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলা তদন্তে পিবিআই প্রধানকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের উচ্চপর্যায়ের টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করা হয়। সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ পর্যন্ত ১১৮বার সময় বাড়ানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া করা বাসায় খুন হন সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের তৎকালীন বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। এরপর নিহত মেহেরুন রুনির ভাই নওশের আলম রোমান ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাতে নেতাকর্মীদের প্রতি যেসব নির্দেশনা বিএনপির

চিকিৎসা শেষে আগামী ৬ মে লন্ডন থেকে দেশে ফিরবেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। কাতারের আমীরের বিশেষ...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ