কাশ্মীরের পেহেলগামে সম্প্রতি সশস্ত্র হামলার পরপরই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কার্যত চরমে পৌঁছে যায়। উপমহাদেশের পরমাণু শক্তিধর দুই দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপ নিয়েছে। সর্বশেষ প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের জাহাজ প্রবেশ নিষিদ্ধ করে ভারত। এর জবাবে পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছে পাকিস্তান। দেশটি এবার ভারতীয় জাহাজের জন্য পাকিস্তানের সব বন্দর বন্ধ করে দিয়েছে। একইসঙ্গে পাকিস্তানি পতাকাবাহী জাহাজও ভারতের কোনও বন্দরে যাবে না বলেও নিশ্চিত করেছে ইসলামাবাদ। রোববার (৪ মে) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম লাইভ মিন্ট এবং দ্য ডন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পর্যটনস্থল পেহেলগামে প্রাণঘাতী হামলার পর ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরও খারাপ হওয়ায় ভারতের পতাকাবাহী জাহাজের জন্য নিজ দেশের বন্দর ব্যবহারে শনিবার (৩ মে) নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পাকিস্তান।
গত ২২ এপ্রিল দুপুরে সশস্ত্র হামলায় পেহেলগামে ২৬ জন নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই পর্যটক ছিলেন। এটি ২০০০ সালের পর কাশ্মীরে অন্যতম ভয়াবহ হামলা। ভারত এই হামলার পেছনে পাকিস্তানের মদদপুষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠীর যোগসাজসের অভিযোগ আনলেও কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি।
অন্যদিকে ইসলামাবাদ এই অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে এবং নিরপেক্ষ এবং যৌথ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।
ওই হামলার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে সেই সঙ্গে চলছে পাল্টা পদক্ষেপ নেয়া। এর আগে দুই দেশই পরস্পরের আকাশসীমা একে অন্যের জন্য ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ভারতের সঙ্গে সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে পাকিস্তান। অন্যদিকে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশটির সেনাবাহিনীকে কাশ্মীরে ‘অপারেশনাল ফ্রিডম’ দিয়েছেন।
এর আগে, পাকিস্তান ৩০ এপ্রিলের প্রথম প্রহরে জানায়, ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে ভারত হামলার পরিকল্পনা করছে বলে তাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে। ফলে দুই দেশের কূটনৈতিক চ্যানেলগুলো সংঘাত এড়াতে ব্যস্ত হয়ে ওঠে।