spot_img

চতুর্থবার নিলামে তুলেও বিক্রি হলো না অং সান সু চির বাড়ি

অবশ্যই পরুন

মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে অবস্থিত নোবেলজয়ী নেত্রী অং সান সু চির ঐতিহাসিক বাসভবনটি চতুর্থবারের মতো নিলামে তোলা হলেও কোনো ক্রেতা পাওয়া যায়নি। ইনয়া লেকের ধারে ইউনিভার্সিটি অ্যাভিনিউতে অবস্থিত বাড়িটি প্রায় ১ দশমিক ৯ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত।

এই দোতলা উপনিবেশ আমলের বাড়িতেই প্রায় ১৫ বছর গৃহবন্দী ছিলেন সু চি, যেখানে থেকেই তিনি শান্তিপূর্ণ প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পান এবং শান্তিতে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন।

গত ২৯ এপ্রিল নিলামের দিন, আদালত নিযুক্ত এক কর্মকর্তা বাড়ির গেটে দাঁড়িয়ে নিলাম শুরু করেন। দাম হাঁকা হয় ২৭০ বিলিয়ন কিয়াত—বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১ হাজার ৬৪৭ কোটি। তবে আগের নির্ধারিত মূল্যের তুলনায় দাম কমানো হলেও, কেউ আগ্রহ দেখায়নি।

নিয়ম অনুযায়ী নিলামকারী তিনবার দাম হাঁকলেও কোনো প্রস্তাব আসেনি। ফলে, এই নিলামকেও ব্যর্থ ঘোষণা করা হয়। সাংবাদিক ও পুলিশের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হওয়া এই নিলাম নিয়ে সামরিক সরকার কোনো মন্তব্য করেনি।

এই বাসভবনটি একসময় সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)-এর অঘোষিত সদর দপ্তর হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এছাড়া, এই ঐতিহাসিক বাড়িতে সফর করেছেন বারাক ওবামা, হিলারি ক্লিনটন ও বান কি মুনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিশ্বনেতারা।

সু চি বর্তমানে সামরিক শাসনাধীন নির্জন কারাগারে বন্দী। তাঁর সঠিক অবস্থান অজানা এবং একের পর এক মামলায় তাঁকে ২৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে, যা সমর্থকদের মতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন।

বাড়িটির মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক বিরোধ চলে আসছে। ২০১৯ সালে আদালত সু চির বড় ভাইকে অংশ বিক্রির অনুমতি দেয়। তারপর থেকেই বাড়িটি বিক্রির চেষ্টায় একাধিক নিলাম আয়োজিত হয়—২০২৪ সালের মার্চ, আগস্ট ও ফেব্রুয়ারির নিলামও ব্যর্থ হয়েছিল।

রাজনৈতিক অস্থিরতা, সেনা সরকারের বিতর্কিত ভূমিকা এবং সু চির উত্তরাধিকারের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় অনেকেই বাড়িটি কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। এ অবস্থায় অনেকে মনে করছেন, সু চির ঐতিহ্য মুছে ফেলতেই সামরিক সরকার এই উদ্যোগ নিয়েছে।

এদিকে, সামরিক অভ্যুত্থানের পর গঠিত ছায়া সরকার ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি) এই বাড়িকে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ঘোষণা করে বিক্রি ও ধ্বংস নিষিদ্ধ করেছে।

সর্বশেষ সংবাদ

ঐক্যবদ্ধ থাকতে না পারলে ফ্যাসিস্টরা সুযোগ নেবে: এ্যানি

দেশের প্রত্যেকটি মানুষকে এক এবং ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এর মধ্যে ফাটল ধরানোর কোনও সুযোগ দেয়া যাবে না। ফ্যাসিস্টরা কিন্তু...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ