যুক্তরাজ্যে অবস্থানকালে পূর্ণাঙ্গ রাজকীয় নিরাপত্তা পাওয়ার দাবিতে করা মামলায় হেরে গেছেন ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য প্রিন্স হ্যারি। আদালতের রায়ের ফলে হ্যারি ও তাঁর পরিবারের জন্য এখন থেকে তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থাই বজায় থাকবে। আদালতের রায়ের পর তিনি হতাশা প্রকাশ করেছেন।
শুক্রবার (২ মে) দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালে রাজকীয় দায়িত্ব ত্যাগ করে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস শুরু করার পর থেকে হ্যারির নিরাপত্তা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা হয়। সেই থেকেই তিনি যুক্তরাজ্যে থাকাকালীন নিজে এবং পরিবারের জন্য নির্ধারিত নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ‘নিম্ন মানের’ এবং ‘অসম আচরণ’ বলে দাবি করে আসছিলেন।
তবে কোর্ট অব আপিলের তিন সিনিয়র বিচারক স্যার জিওফ্রে ভস, লর্ড জাস্টিস বিন এবং লর্ড জাস্টিস ইডিস একমত হয়ে বলেন, হ্যারির অভিযোগের মধ্যে কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। বিচারক ভস বলেন, ‘সব নথি পর্যালোচনার পর আমি মনে করি, ডিউক অব সাসেক্সের ক্ষোভ রেভেকের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য যথেষ্ট নয়।’
প্রিন্স হ্যারি এই মামলাকে জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মামলা বলে বর্ণনা করেছিলেন। ডেইলি টেলিগ্রাফ-কে তিনি বলেছিলেন, ‘এই মামলাই সবকিছুর চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
হ্যারির আইনজীবী শাহিদ ফাতিমা কেসি আদালতে বলেন, ‘এই মামলার মানবিক দিক ভুলে গেলে চলবে না। হ্যারির জীবন ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে রয়েছে।’ তিনি আরও উল্লেখ করেন, হ্যারির আদালতে উপস্থিতিই প্রমাণ করে, এই মামলার গুরুত্ব কতটা গভীর।
ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই আপিলের বিরোধিতা করে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে রেভেক (রয়্যালটি অ্যান্ড পাবলিক ফিগারস প্রোটেকশন এক্সিকিউটিভ কমিটি) ঘোষণা দেয়, হ্যারি ও তাঁর স্ত্রী মেগান আর রাজকীয় নিরাপত্তার আওতায় থাকবেন না। পরিবর্তে তাঁদের নিরাপত্তা সফরের আগে ৩০ দিনের পূর্বঘোষণার ওপর নির্ভর করবে এবং সফরের হুমকির মাত্রা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।