মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, ইরানকে অবশ্যই ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ এবং দূর-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন সংস্কার থেকে সরে যেতে হবে। এছাড়া তেহেরানে থাকা পারমাণবিক স্থাপনা পরিদর্শনে যুক্তরাষ্ট্রকে সুযোগ দিতে হবে। পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে শুরু হওয়া আলোচনার চতুর্থ ধাপ স্থগিত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার (০১ মে) তিনি এ কথা বলেন। খবর রয়টার্স
রুবিও’র মন্তব্যের মাধ্যমে মূলত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের বিরোধের বিষয়গুলো ফুটে উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে ওয়াশিংটন তেহেরানের সঙ্গে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে আসছে। শেষ পর্যন্ত গত মাসে এই আলোচনা শুরু হয়। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুমকি দিয়ে রেখেছেন যদি পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরানের সঙ্গে চলমান আলোচনা ব্যর্থ হয় তাহলে তিনি দেশটিতে হামলা চালাবেন।
ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাতকারে রুবিও বলেন, ‘ইরানকে সন্ত্রাসীদের সহায়তা দেয়া থেকে সরে আসতে হবে। এছাড়া ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের সহায়তা এবং দুর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি (যার উদ্দেশ্য পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি) ও ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ থেকেও তাদের সরে আসতে হবে।
তবে ইরান বরাবরই বলে আসছে, তারা কখনও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি এবং ইউরোনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করবে না। কারণ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাধ্যমে তারা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি তৈরি করে। এছাড়া এটি দিয়ে স্বয়ংক্রিয় ওয়ারহেডও তৈরি করা হয়।
গতকাল ইরানের সিনিয়র এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, সময়সূচি অনুযায়ী পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে চতুর্থ ধাপের আলোচনা শনিবার রোমে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এটি স্থগিত করা হয়েছে। এখন যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ অনুযায়ী নতুন দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হবে।
রুবিও বলেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কর্মসূচির জন্য ইরানের উচিত ইউরেনিয়াম আমদানি করা। কোনো অবস্থাতেই এটি তাদের সমৃদ্ধকরণ করা উচিত হবে না।
তিনি আরও বলেন, যদি ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে ৩.৬৭ শতাংশ সক্ষমতা অর্জন করে তাহলে মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সেটি ২০ থেকে ৬০ শতাংশে পৌঁছে যাবে এবং অস্ত্র তৈরির জন্য ৮০ থেকে ৯০ শতাংশে পৌঁছানোও সম্ভব হবে।
তবে ইরানের দাবি, পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির শর্ত অনুযায়ী তাদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার অধিকার রয়েছে। তবে পারমাণবিক বোমা তৈরির বিষয়টি তারা অস্বীকার করেছে।