কাশ্মিরের পেহেলগামে প্রাণঘাতী জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর সীমান্ত এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে চরম আতঙ্ক। বিশেষ করে উত্তর কাশ্মিরের কুপওয়ারা জেলার সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর বাসিন্দারা ফের বাংকার সংস্কারে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কেউ কেউ নতুনও নির্মাণ করছেন।
বিষয়টি নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে রাজ্যটির অন্যতম প্রধান সংবাদমাধ্যম ‘গ্রেটার কাশ্মির‘। সেখানে বলা হয় সীমান্ত উত্তেজনার জেরে কার্নাহ, কেরান, মাচিল, বুদনামাল, কুমকাড়ি, মারসারি, চৌকিবালসহ একাধিক গ্রামের মানুষ ফের শঙ্কার মধ্যে পড়েছেন। ওইসব গ্রামের লোকজন পুরোনো বাংকারগুলো পরিষ্কার ও মেরামত করছেন। যেন যেকোনও সময় বিপদে তা ব্যবহার করা যায়।
সেখানকার বাসিন্দা হাবিবুল্লাহ বলেন, ‘আমি আগের গোলাগুলির দিনগুলোর কথা এখনও মনে করতে পারি। ভয় লাগছে, আবার না সেসব দিনে ফিরে যাই। তাই আমরা পুরোনো বাংকারগুলো মেরামত করছি, যেন প্রয়োজনে আশ্রয় নিতে পারি।
কেরানের আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘আমরা জানি না, পরবর্তীতে কী হতে চলেছে। আমরা শান্তি চাই, তবে একইসঙ্গে প্রস্তুতও থাকতে চাই। এই বাংকারগুলোই আমাদের শেষ ভরসা।’
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর সীমান্তে শান্তি ফিরে এসেছিল। ফলে সেসময় থেকে বাংকারগুলো আর ব্যবহারের প্রয়োজন হয়নি। কিন্তু সাম্প্রতিক পেহেলগাম হামলার পর থেকে দু’দেশের সীমান্তে উত্তেজনা ও গোলাগুলি চলছে। স্থানীয়রা তাই আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছেন না।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে আতঙ্কের পরিবেশ বিরাজ করছে। দুই দেশের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ শুরু হতে পারে, বাসিন্দারা এমন শঙ্কার মধ্যে সময় কাটাচ্ছেন। তবে তারা চান পরিস্থিতি যেন আর অবনতি না ঘটে এবং সীমান্তে শান্তি বজায় থাকে।