করলার নাম শুনলেই অনেকের মুখে তেতো স্বাদের কথা ভেসে আসে। বেশিরভাগ মানুষ এই সবজিকে তাদের খাবারের তালিকা থেকে দূরে রাখেন। কিন্তু আপনি কি জানেন, এই তেতো স্বাদের সবজিটি আসলে একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতার সম্ভার? বাবা-মা কিংবা পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠরা যখন করলা খেতে বলেন, এর পেছনে থাকে একটাই কারণ—এর অসাধারণ পুষ্টিগুণ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা করলা নিয়মিত খান, তারা এর স্বাদে অভ্যস্ত হয়ে যান এবং ধীরে ধীরে এর ভিন্নধর্মী গুণে মুগ্ধ হন। চলুন জেনে নিই করলা খাওয়ার কিছু প্রমাণিত উপকারিতা—
১. ওজন কমাতে সহায়ক:
করলা অত্যন্ত কম ক্যালোরিযুক্ত একটি সবজি। এতে ফ্যাট এবং কার্বোহাইড্রেটও থাকে অল্প। তাই যারা ওজন কমাতে চান কিংবা ডায়েটে আছেন, তাদের জন্য করলা একটি আদর্শ সবজি।
২. হজমশক্তি বাড়ায়:
করলায় রয়েছে প্রচুর ফাইবার, যা হজমে সহায়তা করে এবং মলের গঠন উন্নত করে। এটি খেলে পেট ফাঁপা, অম্বল বা ভারী অনুভূতির সম্ভাবনা থাকে না।
৩. ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী:
আমেরিকান USDA-এর তথ্য অনুযায়ী, প্রতি ১০০ গ্রাম করলায় থাকে মাত্র ১৩ মিলিগ্রাম সোডিয়াম এবং ৬০২ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম। করলায় থাকা উদ্ভিদ-ভিত্তিক ইনসুলিন জাতীয় উপাদান ‘পি-ইনসুলিন’ রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সহায়তা করে।
৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:
করলার প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য এবং উচ্চ ভিটামিন সি উপাদান শরীরকে বিভিন্ন সংক্রমণ ও রোগ থেকে রক্ষা করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
৫. ত্বক ও চুলের যত্নে সহায়ক:
করলায় থাকা আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম ও অন্যান্য খনিজ উপাদান ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নিয়মিত করলার রস পান করলে ব্রণের সমস্যা হ্রাস পায় এবং ত্বক হয় উজ্জ্বল ও পরিষ্কার।
তাই যারা এখনও করলার প্রতি অনীহা দেখিয়ে যাচ্ছেন, তাদের জন্য এখনই সময় ভাবনার পরিবর্তন করার। স্বাস্থ্য সচেতন জীবনের পথে করলা হতে পারে একটি শক্তিশালী সহচর।