spot_img

আড়াইশ কোটি টাকা সরানো নিয়ে বিসিবির ব্যাখ্যা

অবশ্যই পরুন

এফডিআরের বিপুল অঙ্কের অর্থ অন্য ব্যাংকে সরিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই চলছিল ব্যাপক আলোচনা। আজ শনিবার (২৬ এপ্রিল) এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে বিসিবি।

এর আগে এ বিষয়ে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেছিলেন, ২৩৮ কোটি টাকা ‘রেড জোন থেকে গ্রিন আর ইয়োলো জোনে’ ব্যাংকে নিয়ে গেছি টাকা। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে আছে ১২ কোটি টাকা। মোট আড়াইশ কোটি। এদের থেকে আমি স্পন্সর পেয়েছি ১২ কোটি টাকার কাছাকাছি, আর প্রতিশ্রুতি পেয়েছি আরও ২৫ কোটি টাকার ইনফ্রাস্ট্রাকচার বানায় দিবে।’

এ নিয়ে আজ ব্যাখ্যা দিয়েছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিবি। সংস্থাটি জানিয়েছে, বোর্ডের অর্থের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই টাকা ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাংক থেকে তুলে অন্য ব্যাংকে পুনরায় বিনিয়োগ করা হয়েছে। এই উদ্যোগের কারণে স্থায়ী আমানত থেকে বোর্ডের মুনাফাও বেড়েছে।

বিসিবি মনে করছে, বোর্ড ও এর সভাপতি ফারুক আহমেদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতেই পরিকল্পিতভাবে ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছিল। আজ গণমাধ্যমে পাঠানো আর্থিক লেনদেন–সম্পর্কিত বিসিবির বিবৃতিতে এ কথাগুলো বলা হয়।

গত আগস্টে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিসিবির পরিচালনা পর্ষদেও পরিবর্তন আসে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কর্তৃক পরিচালক মনোনীত হয়ে সভাপতি হন সাবেক ক্রিকেটার ফারুক আহমেদ।

বিসিবির বিবৃতিতে বলা হয়, আর্থিক স্বার্থ সংরক্ষণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদানের অংশ হিসেবে বোর্ড তার ব্যাংকিং সম্পর্কগুলো পুনর্মূল্যায়ন করে এবং শুধু বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত ‘গ্রিন’ ও ‘ইয়েলো’ তালিকাভুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেই লেনদেনে জড়িত থাকার সিদ্ধান্ত নেয়।

বিসিবি অর্থের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঝুঁকিপূর্ণ তালিকার ব্যাংকগুলো থেকে ২৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করে ২৩৮ কোটি টাকা ‘গ্রিন’ ও ‘ইয়েলো’ তালিকার ব্যাংকগুলোতে পুনর্বিনিয়োগ করে। বাকি ১২ কোটি বিসিবির পরিচালনা ব্যয় নির্বাহের জন্য নির্ধারিত ব্যাংকে স্থানান্তর করা হয়।

সংবাদমাধ্যম ও অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে ফারুক আহমেদ নিজের সিদ্ধান্তে টাকা স্থানান্তর করেছেন বলে যে কথা বলা হয়েছে, সেটিও খণ্ডন করেছে বিসিবি।

এ বিষয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বোর্ড সভাপতি কোনো একক সিদ্ধান্তবলে বোর্ডের পরিচালনা পর্ষদের অজ্ঞাতে ব্যাংক পরিবর্তনের অথবা লেনদেনসংক্রান্ত নির্দেশ প্রদান করেন না। পার্টনার ব্যাংকগুলোর সঙ্গে বিসিবির আর্থিকবিষয়ক লেনদেনে স্বাক্ষর প্রদানকারী হিসেবে দুজন বোর্ড পরিচালক আছেন—বোর্ডের ফিন্যান্স কমিটি চেয়ারম্যান ফাহিম সিনহা ও টেন্ডার ও পারচেজ কমিটি চেয়ারম্যান মাহবুবুল আনাম। বিসিবি সভাপতি এ–সংক্রান্ত বিষয়ে স্বাক্ষরদাতা নন।’

বিবৃতিতে বলা হয়, আর্থিক স্বার্থ সংরক্ষণের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদানের অংশ হিসেবে বোর্ড তার ব্যাংকিং সম্পর্কগুলো পুনর্মূল্যায়ন করে। এছাড়া শুধু বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত গ্রিন ও ইয়েলো তালিকাভুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেই লেনদেনে জড়িত থাকার সিদ্ধান্ত নেয় বোর্ড।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘বোর্ড সভাপতি কোনও একক সিদ্ধান্ত বলে বোর্ডের পরিচালনা পর্ষদের অজ্ঞাতে ব্যাংক পরিবর্তনের অথবা লেনদেনসংক্রান্ত নির্দেশ প্রদান করেন না। পার্টনার ব্যাংকগুলোর সঙ্গে বিসিবির আর্থিক বিষয়ক লেনদেন স্বাক্ষর প্রদানকারী হিসেবে দুজন বোর্ড পরিচালক আছেন। বোর্ডের ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান ফাহিম সিনহা এবং টেন্ডার ও পারচেজ কমিটি চেয়ারম্যান মাহবুবুল আনাম। বিসিবি সভাপতি এ সংক্রান্ত বিষয়ে স্বাক্ষরদাতা নন।’

গত ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত বিসিবি তার অর্থ ও স্থায়ী আমানত সংরক্ষণের দায়িত্ব ১৩টি ব্যাংকের হাতে দিয়েছে জানিয়ে বলা হয়, এর ফলে আগের তুলনায় বিসিবির স্থায়ী আমানত থেকে ২ থেকে ৫ শতাংশ পর্যন্ত অতিরিক্ত মুনাফা হয়েছে।

এছাড়া গত ছয় মাসে বিসিবি তাঁর বর্তমান তিনটি ব্যাংকিং অংশীদারের কাছ থেকে আনুমানিক ১২ কোটি টাকার আর্থিক স্পনসরশিপ এবং অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য আরও প্রায় ২০ কোটি টাকা বিনিয়োগের আশ্বাস পেয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

বিবৃতির সঙ্গে সরবরাহ করা নথি অনুসারে, বিসিবি ‘রেড জোনে’ থাকা বেসরকারি খাতের মিডল্যান্ড, বেসিক, আইএফআইসি, এক্সিম, ইউসিবি ও সরকারি জনতা ও অগ্রণী ব্যাংক থেকে এফডিআরের টাকা তুলে নিয়েছে, যা রাখা হয়েছে ইস্টার্ন, ব্র্যাক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট, পূবালী, মেঘনা ও সিটি ব্যাংকে। কিছু অর্থ অগ্রণী ব্যাংকেও আবার বিনিয়োগ করা হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

নিজের পছন্দের জায়গায় সমাহিত হলেন পোপ ফ্রান্সিস

নিজের ভালোবাসার জায়গা রোমের সান্তা মারিয়া ম্যাজিওর ব্যাসিলিকায় সমাহিত করা হয়েছে রোমান ক্যাথলিক ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসকে। আজ শনিবার (২৬...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ