ট্রেন অপহরণ, ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ, রাজনৈতিক নেতা হত্যার পরে এবার বেলুচিস্তানের বিদ্রোহীরা আঘাত হানল সেনা কনভয়ে। সেই প্রদেশের রাজধানী কোয়েটার অদূরে মার্গেটে শুক্রবার ( ২৫ এপ্রিল) রাতে ওই হামলার ঘটনায় পাক সেনার এক অফিসারসহ ১০ জন নিহত হয়েছেন।
বিদ্রোহী গোষ্ঠী বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)-র মুখপাত্র জেনাদ বেলুচ হামলার দায় স্বীকার করে জানিয়েছেন, ইসলামাবাদের আগ্রাসী আচরণের জবাবেই এই হামলা। প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাসে কাচ্চি বোলানে ট্রেন ছিনতাই, কোয়েটায় আধাসেনা ফ্রন্টিয়ার কোরের গাড়িতে আইইডি বিস্ফোরণ, নোশকিকে সেনা কনভয়ে আত্মঘাতী হামলার মতো নতুন কৌশলে হানাদারি চালিয়েছে বিএলএ। বৃহস্পতিবার ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কালাত জেলায় এক রাজনৈতিক নেতার কনভয়ও উড়িয়ে দিয়েছিল তারা।
বিএলএর ফিদায়েঁ বাহিনী মজিদ ব্রিগেডই এই হামলাগুলি চালাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনাচক্রে, গত মাসের শুরুতেই অন্য দুই সশস্ত্র বেলুচ গোষ্ঠী, বেলুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্ট (বিএলএফ) ও বেলুচ রিপাবলিকান গার্ডস (বিআরজি) এবং সিন্ধুপ্রদেশে সক্রিয় বিদ্রোহী সংগঠন ‘সিন্ধুদেশ রেভলিউশনারি আর্মি’র (এসআরএ) সঙ্গে হাত মিলিয়ে নতুন যৌথমঞ্চ গড়েছে বিএলএ।
ইসলামাবাদের অভিযোগ, ভারতের তৎপরতাতেই একজোট হচ্ছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলি। পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের রাজনৈতিক ও জনসংযোগ বিষয়ক মুখ্য উপদেষ্টা রানা সানাউল্লা সম্প্রতি জানিয়েছিলেন, বেলুচ বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান জারি রাখা হবে। তার পরই ১৫ এপ্রিল থেকে নতুন করে হামলা শুরু করেছে বিএলএ। সে দিন ফ্রন্টিকার কোরের কনভয় উড়িয়ে দিয়েছিল তারা।
সূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা