আর কদিন পরেই শুরু হচ্ছে হজের ফ্লাইট। গোটা বিশ্ব থেকে কাবার মেহমানরা ছুটে চলবে লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক ধ্বনিতে। হজ একটি আর্থিক ও শারীরিক ইবাদত। লম্বা এই সফরে ইবাদতের নিয়ম কানুন জেনে নেওয়া প্রত্যেক হাজীর জন্য আবশ্যকীয়। হাজিরা বাংলাদেশ ত্যাগ করার আগেই এই প্রস্তুতি সম্পন্ন করে নেবেন।
প্রথমবারের মতো যারা হজ্বে যাচ্ছেন তাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জিং সফর হতে যাচ্ছে। তাই যার যার মুয়াল্লিমের মাধ্যেমে বা ভালো কোন আলেমের তত্ত্বাবধানে হজের প্রশিক্ষণ করে নিবেন। হজের সময় বিশেষ করে ৮, ৯, ১০, ১১, ১২ ও ১৩ জিলহজ এই পাঁচদিন কোথায় কিভাবে কোন কাজ করতে হবে—তা ভালোভাবে জেনে নিবেন।
কোথায় কোন দোয়া পড়তে হবে তা মুখস্ত করা কিংবা ছোট কোন সেই দোয়ার বই সাথে রাখবেন। সফরে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো ল্যাগেজে করে অবশ্যই নিয়ে যাবেন। যেমন পুরুষদের জন্য এহরামের কাপড় দুই সেট। দুই ফিতার জুতো বা স্যান্ডেল, সুগন্ধিমুক্ত সাবান কেননা হজের সময় কোন সুগন্ধি ব্যবহার করা যাবে না। ওষুধসহ ইত্যাদি প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো নিয়ে নিবেন। সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ হলো আপনার পাসপোর্ট, হজের নুসুক কার্ড, মুয়াল্লিম নাম্বার ও টাকা-পয়সা স্বযত্নে আপনার সাথেই রাখবেন। তা অন্য কাউকে দিয়ে বহন করাবেন না। তা রাখার জন্য বেল্টের ব্যাগ বা গলায় ঝুলানো ব্যাগ ব্যবহার করবেন।
সফরে প্রত্যেকটা ব্যাগে হাজির নাম ও পাসপোর্ট, এজেন্সি ও ফোন নাম্বার দিয়ে ট্যাগ ব্যবহার করবেন। হজের মাসলা-মাসায়েল গুলো ঠিকমতো আদায়ের জন্য সাথে একটি হজ্ব গাইড বই রাখবেন অথবা আগে হজ করেছেন অভিজ্ঞ আলিমের সাথেই থাকার চেষ্টা করবেন।
সর্বোপরি আল্লাহর কাছে সুষ্ঠুভাবে হজ আদায়ের জন্য ও নিরাপদ সফরের জন্য দোয়া করা।
লেখক : খতিব টোলারবাগ কেন্দ্রীয় মসজিদ, মিরপুর-০১, ঢাকা