চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে (ডিপিএল) আম্পায়ার ইস্যুতে শাস্তির পর তাওহীদ হৃদয়কে আবারও সাসপেন্ড করা হাস্যকর ছাড়া কিছুই না বলে জানিয়েছেন তামিম ইকবাল। তিনি বলেছেন, তাওহীদ হৃদয়কে প্রথমে দুইটা ম্যাচের জন্য যখন সাসপেন্ড করে তখন কিন্তু কোনো খেলোয়াড় এটা নিয়ে কথা বলে নাই। কিন্তু গতকাল আবার নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এটা কোন নিয়মে হয়েছে, তা আমি জানি না। বিষয়টা খুবই হাস্যকর, এটা কোনোভাবেই নিষেধাজ্ঞা হতে পারে না।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিসিবি সভাপতির সঙ্গে বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিপিএলে ফিক্সিং ইস্যুতে দুইজন ক্রিকেটারকে ভরা মজলিসে বিসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিটের জেরার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তামিম ইকবাল বলেন, কিছুদিন আগে গুলশান ও শাইনপুকুরের ম্যাচে অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটেছে। আমরা স্পষ্টভাবে বোর্ডকে বলেছি, ওখানে যদি কোনও ধরনের দুর্নীতি হয়ে থাকে বা কোনো খেলোয়াড় দোষী হয়, আমরা সবাই চাই এর শাস্তি হোক। এটার সঙ্গে একশভাগ একমত। তার মানে এই অধিকার নেই দুটো ছেলেকে নিয়ে মিডিয়ার সামনে অভিনয় করাবেন।
বিশ্বের কোনো অ্যান্টি করাপশন বা কোনো জায়গায় এই নিয়ম নেই উল্লেখ করে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক এই ক্রিকেটার বলেন, একই জিনিস অভিনয় করিয়ে ওই দুই ছেলেকে মিডিয়ার সামনে বেইজ্জত করবেন। ক্রিকেটারদের প্রতি এটা অপমান। এটা নিয়ে আমরা এক ফোঁটাও খুশি ছিলাম না।
বিপিএলের সময় ক’জন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ আসে, সেই প্রসঙ্গে তামিম ইকবাল বলেন, বিপিএলেও একই রকম ঘটনা ঘটেছে, বিসিবির ভেতর থেকে ১০ জনের নাম ফাঁস হয়েছে। ১০ জনের ছবি দিয়েছে বিভিন্ন মিডিয়াতে। ওখান থেকে কেউ যদি দোষী হয়, আমরা সব ক্রিকেটাররা চাই তার শাস্তি হোক। কিন্তু ওখান থেকে যদি ২ বা ৮ জন নির্দোষ হয়? এভাবে করে যদি নাম প্রকাশ করা হয়, তা ক্রিকেটারদের জন্য অসম্মান। এই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন ছিলাম।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ক্রিকেটে গত কয়েক মাসে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনায় হতাশ হয়ে আজ শুক্রবার বিসিবি সভাপতির সঙ্গে বৈঠক করেছেন ক্রিকেটাররা।