অবৈধ অভিবাসী উচ্ছেদে একের পর এক সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করছে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ। চলমান এ অভিযানে বাংলাদেশিসহ আটক হচ্ছেন অসংখ্য অভিবাসী। চলতি বছরের ২ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৪৬ হাজার ৭৯০ জনের নথিপত্র ও তথ্য যাচাই বাছাই করা হয়েছে এবং দেশটির ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩ এর অধীনে বিভিন্ন অপরাধে আটক করা হয়েছে ১৯ হাজার ৩৬১ জনকে। এদের মধ্যে কতজন বাংলাদেশি আটক হয়েছেন তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।
একই সময়ে ৪৪৮ জন নিয়োগকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে অভিবাসী শ্রমিকদের সুরক্ষা দেওয়ার অভিযোগে আনা হয়েছে।
দেশটির ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট বলছে- যেখানে অবৈধ অভিবাসীরা আধিপত্য বিস্তার করছেন সেসব স্থানে মনোযোগ দিচ্ছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো।
জাবাতান ইমিগ্রেশন মালয়েশিয়ার (জেআইএম) মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শাবান বলেছেন, তার বিভাগ স্থানীয় কর্তৃপক্ষ (পিবিটি) এবং রয়্যাল মালয়েশিয়ান পুলিশসহ (পিডিআরএম) অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে অবৈধ অভিবাসীদের সমস্যা মোকাবিলায় সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাবে। কোনো আপস ছাড়াই অভিযান ধারাবাহিকভাবে পরিচালিত হবে।
সম্প্রতি কুয়ালালামপুরে জেআইএম-এর ঈদুল ফিতর উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমার বার্তা হলো- আমি এই বছরটিকে ইমিগ্রেশন বিভাগের জন্য একটি স্মরণীয় বছর হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আইন প্রয়োগকারী কার্যক্রমের ওপর আরও বেশি মনোযোগ দেব। এর মধ্যে থাকবে বিদেশিদের নিয়ন্ত্রিত এলাকা, বিশেষ করে কুয়ালালামপুর এবং সেলাঙ্গরের মতো অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলো।
এ দিকে কেলানটান ইমিগ্রেশন দেশটির তিন জেলায় অভিযান চালিয়ে ৩২ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে। বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাজ্যের কোটা ভারু, টুম্পাট এবং মাচাং-এর আশেপাশে ১৬ জন এনফোর্সমেন্ট অফিসারের সমন্বয়ে সুইপ, সার্চ এবং কালেক্ট নামে অভিযান চালানো হয়।
কেলানটান ইমিগ্রেশনের পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ খান মোহাম্মদ হাসান বলেন, যেসব জায়গায় বিদেশিরা বেশি সংখ্যায় থাকেন সেসব জায়গায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানটি চালানো হয়েছিল। অভিযানে ২০ থেকে ৫৫ বছর বয়সী ১৮ জন বাংলাদেশি, ৩ জন থাই নাগরিক, মিয়ানমারের ৩ ও ৮ ইন্দোনেশিয়ানকে আটক করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আটককৃত অভিবাসীদের বিরুদ্ধে বৈধ ভ্রমণ নথি না থাকা, অতিরিক্ত সময় ধরে থাকা এবং তাদের ভিজিট পাসের শর্ত লঙ্ঘনসহ বিভিন্ন অভিবাসন অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য, ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩ এর অধীনে আরও তদন্তের জন্য তানাহ মেরাহ ইমিগ্রেশন ডিপোতে তাদের আটক রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্যের অভিবাসন বিভাগ।