spot_img

বিদেশি ছাত্র ভর্তির অনুমতি হারাতে পারে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ট্রাম্প প্রশাসনের হুমকি

অবশ্যই পরুন

সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের বেশ কিছু দাবি গত সোমবার (১৪ এপ্রিল) প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির এমন অবস্থান গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মাথায় ট্রাম্প প্রশাসন ঘোষণা দেয়, তারা বিশ্ববিদ্যালয়টির জন্য ২৩০ কোটি ডলারের ফেডারেল তহবিল স্থগিত করছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি অনুযায়ী কিছু ভিসাধারীর তথ্য না দিলে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করার অনুমতি হারাতে পারে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ। খবর সিএনএন এর।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প প্রশাসনের সময় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো মার্কিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তির অনুমতি হারানোর হুমকির মুখে পড়েছিল অনলাইন ক্লাসের নীতির কারণে।

২০২০ সালের জুলাইয়ে মার্কিন অভিবাসন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) নতুন একটি নিয়ম জারি করে, যা অনুযায়ী শুধুমাত্র অনলাইন ক্লাসে অংশ নেয়া বিদেশি শিক্ষার্থীদের (এফ-১ ভিসাধারী) ভিসা বাতিল বা তাদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকার অনুমতি না দেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছিল।

‘কোভিড-১৯’ মহামারির সময় অনেক বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন ক্লাস চালু করেছিল, কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন চেয়েছিল যে বিদেশি শিক্ষার্থীরা যেন শুধুমাত্র অনলাইন শিক্ষার মাধ্যমে পড়াশোনা না করে।

এরপর হার্ভার্ড ও এমআইটিসহ অনেক বিশ্ববিদ্যালয় এই নীতির বিরুদ্ধে মামলা করে এবং আদালতের মাধ্যমে সেটি সাময়িকভাবে বন্ধ করতে সক্ষম হয়।

এই হুমকির ফলে হাজার হাজার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী চাপের মধ্যে পড়েন, যাদের অনেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে বাধ্য হতেন, যদি নিয়মটি কার্যকর হতো।

পরবর্তীতে ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে এবং আদালতের চাপের কারণে আইসিই নিয়মটি শিথিল করতে বাধ্য হয়। ফলে হার্ভার্ড ও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিদেশি শিক্ষার্থীরা তাদের ভিসা ধরে রাখতে পেরেছিল।

২০২১ সালে বাইডেন প্রশাসন এসে এই ধরনের নিষেধাজ্ঞাগুলো প্রত্যাহার করে নেয় এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য নিয়ম সহজ করে।

কিন্তু ট্রাম্প আবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর একই রকমের পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের সচিব ক্রিস্টি নোম গতকাল বুধবার (১৬ এপ্রিল) এ ঘোষণা দিয়েছেন। সরকারের এ পদক্ষেপ বিশ্ববিদ্যালয়টির বিরুদ্ধে নতুন করে চাপ সৃষ্টি করেছে।

ক্রিস্টি নোম আরও ঘোষণা দেন, হার্ভার্ডের জন্য বরাদ্দকৃত হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের মোট ২৭ লাখ ডলারের দুইটি অনুদান বাতিল করা হয়েছে।

ক্রিস্টি নোম বলেন, হার্ভার্ডের ৫ হাজার ৩২০ কোটি ডলারের তহবিল আছে। তারা নিজেদের তৈরি করা বিশৃঙ্খলার ব্যয় নিজেরাই বহন করতে পারে।

ট্রাম্প প্রশাসন ফিলিস্তিনপন্থী কিছু বিদেশি বিক্ষোভকারীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করছে এবং সারাদেশে শত শত ভিসা বাতিল করেছে। এমন পরিস্থিতিতে ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি অনুযায়ী, বিদেশি শিক্ষার্থীদের তথ্য না দিলে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় আরও বিপাকে পড়তে পারে বলে ধারণা করছে বিশ্লেষকরা।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (১১ এপ্রিল) হার্ভার্ডকে লেখা এক চিঠিতে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা ব্যবস্থা ও নেতৃত্বে সংস্কার আনার আহ্বান জানিয়েছিল প্রশাসন। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈচিত্র্য, সমতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মসূচি বাদ দেয়া, কিছু বিভাগে অডিট চালানোসহ প্রতিষ্ঠানটির কাছে বেশ কিছু দাবি জানানো হয়।

এরপর উত্তরে সোমবার (১৪ এপ্রিল) এক চিঠিতে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট অ্যালান গারবার বলেন, কেন্দ্রীয় তহবিল ধরে রাখার আশায় তারা এসব দাবি মেনে নিতে পারবেন না।

সর্বশেষ সংবাদ

দেশে যেন আর স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না পায় এ জন্য জুলাই সনদ প্রয়োজন: নাহিদ ইসলাম

দেশে যেন আর স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত না হয় সে জন্য জুলাই সনদ প্রয়োজন বলে মনে করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ