মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতি আরও তীব্রতর হচ্ছে। ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনি হুতি বিদ্রোহীরা আবারও ইসরায়েলের অভ্যন্তরে দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। রোববার (১৩ এপ্রিল) হামলার ফলে তেল আবিব, আল-কুদস ও পশ্চিম তীর অঞ্চলে সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে ওঠে। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর না পাওয়া গেলেও হামলাটি দেশজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়।
টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হামলা প্রতিহত করার চেষ্টা করেছে। সফল প্রতিরোধ হয়েছে কি না—তা এখনো তদন্তাধীন।
হুতিদের তরফ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী “একটি নির্দিষ্ট সামরিক অভিযান” চালিয়েছে। এতে ‘ফিলিস্তিন-২’ নামক হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহৃত হয়, যা আশদোদের সোদেত মিচা ঘাঁটি ও বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করা হয়।
অন্যদিকে, একই দিনে ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা বিমান হামলায় অন্তত ৬ জন নিহত ও ১৩ জন আহত হন। হামলাগুলো চালানো হয় সানা, সাদা ও হুদাইদাহ প্রদেশের বিভিন্ন স্থাপনায়।
হুতিরা দাবি করে, যুক্তরাষ্ট্র লোহিত সাগরে জাহাজে হামলার প্রতিক্রিয়ায় এসব আক্রমণ চালাচ্ছে। তবে এতে বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে বলেও অভিযোগ উঠে।