spot_img

অভিষেকের তাণ্ডবে কুপোকাত পাঞ্জাব

অবশ্যই পরুন

এবারের আসরে একের পর এক ম্যাচ হেরে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে চলে গিয়েছিলো সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। গত মৌসুমে ট্রাভিস হেড এবং অভিষেক জুটি প্রতিপক্ষকে চিরে চ্যাপ্টা করে হায়দ্রাবাদকে ফাইনালে তুলেছিলো। কিন্তু এবার ট্রাভিস হেড কিছুটা রান পেলেও একদম জ্বলে উঠতে পারেনি অভিষেক শর্মা। অবশেষে স্বরূপে হাজির অভিষেক।

পাঞ্জাব কিংসের দেয়া বিশাল রান তাড়া করতে নেমে এই জুটি চালালেন তাণ্ডব। হেডকে পার্শ্বচরিত্র বানিয়ে আইপিএল ইতিহাসের অন্যতম সেরা ইনিংসে অভিষেক হায়দ্রাবাদকে এনে দিলেন অবিশ্বাস্য এক জয়।

শনিবার (১২ এপ্রিল) হায়দ্রাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে পাঞ্জাব কিংসকে ৮ উইকেট ও ৯ বল হাতে রেখে হারিয়েছে স্বাগতিকরা।

এদিন টস জিতে আগে ব্যাট করা পাঞ্জাব কিংস নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৪৫ রানের বিশাল সংগ্রহ পায়। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অভিষেক শর্মার দুর্দান্ত সেঞ্চুরি ও ট্রাভিস হেডের অর্ধশতকে ভর করে মাত্র ২ উইকেট হারিয়েই ১৮.৩ ওভারে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় হায়দ্রাবাদ। ৪৯২ রানের ম্যাচে শেষ হাসি হায়দ্রাবাদের। আইপিএল ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা।

এদিকে এদিন ২৪৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ৭৪ বলে ১৭১ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ হায়দ্রাবাদের হাতের মুঠোয় এনে দেন অভিষেক শর্মা-ট্রাভিস হেড জুটি। হেডকে বিদায় করে এই জুটি ভাঙেন যুঝবেন্দ্র চাহল।

সাজঘরে ফেরার আগে ৩৭ বলে ৯ চার ও ৩ ছয়ে ৬৬ রান করেন হেড। তখন জয়ের জন্য হায়দ্রাবাদের দরকার ৪৬ বলে ৭৫ রান। কিন্তু এই রান তুলতে কোনো বেগ পেতেই হয়নি স্বাগতিকদের। আগের ম্যাচগুলোয় রান না পাওয়া অভিষেক আজ রুদ্রমূর্তিতে হাজির হয়েছিলেন। হেডের চেয়েও বেশি আগ্রাসী মেজাজে ছিলেন তিনি। মাত্র ৪০ বলে ১১ চার ও ৬ ছক্কায় সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন অভিষেক। সেঞ্চুরি পূর্ণ করেই পকেট থেকে একটি চিরকুট বের করেন। যেখানে লেখা–এটা অরেঞ্জ আর্মির জন্য।

এইদিন অভিষেকের সঙ্গে পাঞ্জাব বধে যোগ দেন হেনরিখ ক্লাসেনও। এই জুটি ২৪ বলে যোগ করেন ৫১ রান। অভিষেককে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন আর্শদীপ সিং। তার আগেই অবশ্য আইপিএলে ভারতীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলে ফেলেছেন অভিষেক।

সাজঘরে ফেরার আগে মাত্র ৫৫ বলে ১৪ চার ও ১০ ছয়ে ১৪১ রান করেন অভিষেক। ততক্ষণে অবশ্য হায়দ্রাবাদের জয়ের আনুষ্ঠানিকতাই বাকি। ইশান কিষানকে নিয়ে বাকি কাজটুকু সারেন ক্লাসেন। ১৪ বলে ২ চার ও ১ ছয়ে ২১ রানে অপরাজিত থাকেন ক্লাসেন। ৬ বলে ৯ রান করে সঙ্গ দেন ইশান।

আর্শদীপ ৪ ওভারে মাত্র ৩৭ রান দিয়ে ১ উইকেট শিকার করেন। অন্য উইকেটটি শিকার করতে ৫৬ রান খরচ করেন চাহল। ম্যাচসেরার পুরষ্কার দিতে আর ভাবতে হয়নি ম্যাচ শেষে। দানবীয় ইনিংস খেলা অভিষেক শর্মাই বনে যান এই ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়।

সর্বশেষ সংবাদ

হত্যার হুমকি পেলেন শামি

ভারতশাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে কঠোর বার্তা দেওয়ার পর ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ