ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদ থেকে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য তৈরি করা ‘ফ্যাসিস্টের প্রতিকৃতি’ আগুনে পুড়ে গেছে। শনিবার (১২ এপ্রিল) ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। খবরটি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ।
চারুকলার নির্মাণস্থলে সরেজমিনে দেখা গেছে, আগুনে প্রধান মোটিফ ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ সম্পূর্ণ ছাই হয়ে গেছে। বাঁশ ও বেত দিয়ে তৈরি এই ২০ ফুট উঁচু মুখাবয়বটি ছিল এবারের নববর্ষের প্রতিপাদ্য ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’-এর প্রতীক।
বিষয়টি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মো. ইসরাফিল বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতিকে টার্গেট করে আগুন লাগানো হয়েছে। ওই আকৃতি পুরোটাই পুড়ে গেছে। একইসাথে পায়রার অবয়বটাও পুড়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগুনটা ফজরের নামাজের সময় লাগানো হয়েছে। আমরা এর পরেই খবর পাই। কিন্তু ফায়ারসার্ভিস আসতে আসতে ওটা পুরোটাই পুড়ে যায়। আগুনটা ইচ্ছে করেই লাগানো হয়েছে। তবে কে বা কারা করেছে তা জানা যায়নি৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এখানে রয়েছে। তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আনুমানিক ভোর ৪ টা ৫০ মিনিটের দিকে চারুকলার গার্ডরা দেখেন ফ্যাসিস্টের প্রতিকৃতি তৈরির স্থানে আগুন জ্বলছে। তারা গিয়ে দেখেন ফ্যাসিস্টের প্রতিকৃতি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। একইসাথে তার পাশে থাকা পায়রার অবয়বটাও পুড়ে গেছে। তারা পানি দিয়ে যতটুকু পেরেছে নেভানোর চেষ্টা করেছে এবং আমাদের জানিয়েছে। খবর পাওয়ার সাথে সাথে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি।’
আগুন পরিকল্পিতভাবে লাগানো হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিগত কয়েকদিন যাবত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছিল। তবে আগুন পরিকল্পিত কি না সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। ভোর ৪টা পর্যন্ত শিক্ষকেরা কাজ করেছে। ফজরের নামাজের সময়টাতে এ ঘটনা ঘটেছে।’
কে বা কারা আগুন দিয়েছে জানতে চাইলে প্রক্টর বলেন, ‘এটা এখনই নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা তদন্ত করে শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।’