গাজায় ইসরায়েলি হামলার নৃশংসতায় প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছেন নিরীহ ফিলিস্তিনিরা। এমন এক সময়ে, যখন উপত্যকাটি রক্তে–ধ্বংসে বিপর্যস্ত, তখন সৌদি আরবের আল–উলাতে আয়োজন করা হয়েছে ডিজে পার্টি। পবিত্র মদিনা নগরীর কাছেই অনুষ্ঠিত এ আয়োজন নিয়ে বিশ্বজুড়ে তৈরি হয়েছে সমালোচনার ঝড়।
জানা গেছে, সম্প্রতি আল–উলার বিখ্যাত এলিফ্যান্ট রক বা জাবাল আল–ফিলের সামনে পাশ্চাত্য সুরে রাতভর চলেছে গান, নাচ ও আলোক আয়োজন। এতে অংশ নেন দেশি–বিদেশি তরুণ-তরুণীরা। অনুষ্ঠানের ভিডিও ও ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যবহারকারীদের অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এদিকে, গাজায় ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে প্রতিদিন ধ্বংস হচ্ছে ঘরবাড়ি, হাসপাতাল ও মসজিদ। একমুঠো খাবার ও পানির জন্য হাহাকার করছে শিশু ও নারীসহ সাধারণ মানুষ। চিকিৎসা ও আশ্রয়ের অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছেন ফিলিস্তিনিরা।
এর মধ্যে আরব দেশগুলোর উদাসীনতা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যখন বাংলাদেশসহ বহু দেশে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশেই চলছে উৎসব-আয়োজন।
শুধু সৌদি আরবই নয়, চলতি মাসেই কাতারের লুসাইল শহরে আয়োজন করা হয় বিশাল আতশবাজির উৎসব। রাতের আকাশে ড্রোন ও অ্যাক্রোবেটিক শোতে আলোকিত করা হয় গোটা এলাকা, যা ফিলিস্তিনে চলমান মানবিক বিপর্যয়ের প্রেক্ষাপটে অনেকের কাছে অমানবিক ও বেখাপ্পা মনে হয়েছে।
গাজায় ৫৫০ দিনের বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি বর্বরতায় আরব বিশ্বের এমন উৎসবমুখরতা ও নিরবতা আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে—ফিলিস্তিনিদের পাশে সত্যিই কে?