spot_img

মিয়ানমারে ভূমিকম্পে প্রাণহানি ২৭০০ ছাড়ালো

অবশ্যই পরুন

মিয়ানমারে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা দুই হাজার ৭০০ ছাড়িয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন সাড়ে চার হাজারের বেশি মানুষ। পাশাপাশি এখন পর্যন্ত ৪৪১ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) এক টেলিভিশন ভাষণে দেশটির জান্তা সরকারের প্রধান মিন অং হ্লেইং হতাহতের এই তথ্য জানিয়েছেন। খবর রয়টার্স।

শুক্রবার দুপুরে আঘাত হানা ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পটি দেশটিতে এক শতাব্দীরও বেশি সময়ের মধ্যে আঘাত হানা ভূমিকম্পের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল। এর ফলে দেশটির প্রাচীন প্যাগোডা এবং আধুনিক ভবনগুলো ভেঙে পড়ে।

উদ্ধারকারী সংস্থাগুলো বলছে, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের জন্য জরুরিভাবে আশ্রয়, খাদ্য ও পানি প্রয়োজন। তবে দেশজুড়ে গৃহযুদ্ধ চলার ফলে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে সহায়তা পৌঁছানো কঠিন হবে।

এদিকে, দুর্ঘটনার তিনদিন পরও এখনও অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রাণহানি দশ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস)।

জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক সমন্বয়কের কার্যালয় জানায়, মিয়ানমারের মান্দালয় শহরে জাতিসংঘ পরিচালিত একটি প্রাক-বিদ্যালয় ভেঙে ৫০ শিশু ও দুইজন শিক্ষক নিহত হয়েছেন।

অন্যদিকে, আফটারশকে বিধ্বস্ত থাইল্যান্ডে ২০ জন নিহত হয়েছেন। দেশটিতে উদ্ধার তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার ব্যাংককে একটি বহুতল ভবনের ধ্বংসাবশেষ থেকে কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও অনেকে বেঁচে আছেন বলেও শনাক্ত করা হয়।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২৮ মার্চ) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে মিয়ানমারে। এর কেন্দ্রস্থল ছিল দেশটির উত্তর-পশ্চিমের শহর সাগাইং থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে। এলাকাটি রাজধানী নেপিদো থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার উত্তরে। ভূমিকম্পটির তীব্র প্রভাব অনুভূত হয় প্রতিবেশী বাংলাদেশ, চীন, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামেও।

ভূমিকম্পের ফলে মিয়ানমারের বহু ভবন, সেতু ও রাস্তাঘাট ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট পরিষেবাও বিচ্ছিন্ন অনেক জায়গায়। ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত মিয়ানমারের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক সহায়তার আবেদন করেছে সামরিক সরকার।

সর্বশেষ সংবাদ

ঈদের আগে প্রবাসী আয়ে রেকর্ড

দেশের পট পরিবর্তনের পর ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে প্রবাসী আয়ে। আগস্টের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে রেমিট্যান্সের পরিমাণ। মার্চ মাসের ২৬...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ