বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও বেড়েই চলেছে বায়ুদূষণের মাত্রা। চলতি বছরের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাস ছিল অত্যন্ত দূষিত, যা এখনও অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় রয়েছে। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে আন্তর্জাতিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইকিউএয়ার এ তথ্য জানিয়েছে।
আজকের বায়ুদূষণের তালিকায় ২৬০ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু, যা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে। ২১১ স্কোর নিয়ে ভারতের দিল্লি রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে, আর ১৭১ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই। ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI) স্কোর ১৩৭, যা তালিকার নবম স্থানে রয়েছে এবং ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতি বছর প্রায় ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। প্রধানত স্ট্রোক, হৃদ্রোগ, ফুসফুস ক্যানসার, শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ও ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (COPD) বৃদ্ধির জন্য বায়ুদূষণ দায়ী। বিশেষ করে শিশু, প্রবীণ, অসুস্থ ব্যক্তি ও অন্তঃসত্ত্বা নারীদের জন্য এটি মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
আইকিউএয়ার স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়, আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।
বায়ুদূষণ নির্ধারণ করা হয় পিএম১০, পিএম২.৫, এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩) এর মাত্রা বিবেচনায় নিয়ে। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, সংবেদনশীল গোষ্ঠীর লোকজনকে বেশি সতর্ক থাকার পাশাপাশি বাতাসের মান খারাপ থাকলে ঘরের বাইরে কম বের হওয়ার।