পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে ধস্তাধস্তি, মারধরের অভিযোগে সরব হয়েছেন রাজ্যটির বিরোধী দলনেতা ও বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। আহত হয়েছেন, রক্তাক্ত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন তিনি।
হাওড়া জেলার বেলগাছিয়া অঞ্চলের স্থানীয় সমস্যা পরিদর্শনে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ রয়েছে, গত ১৯ মার্চ হাওড়ার বেলগাছিয়ার ভাগাড়ে ধস নামে। খুব অল্প সময়ে ধস ভয়াবহ রূপ নেয়। পরবর্তীতে ফেটে যায় শিবপুর ও উত্তর হাওড়া কেন্দ্রের পানি সরবরাহের মূল পাইপলাইন। চরম সমস্যায় পড়েন বাসিন্দারা। এরপর থেকেই হাওড়ার ওই অঞ্চলে চার দিনের বেশি সময় ধরে নেই খাবার পানি, বিদ্যুৎ, তার ওপর ধস নেমে বাড়ির দেওয়ালে চওড়া হচ্ছে ফাটল। এরই মধ্যে ভেঙে পড়ে একটি বাড়ি। আতঙ্কের প্রহর গুনছেন হাওড়ার বেলগাছিয়ার বাসিন্দারা। অনেকেই বাড়ি ছেড়ে রওনা দিচ্ছেন নতুন ঠিকানায়। এদিন হাওড়ার বেলগাছিয়ায় পৌঁছে যান বিরোধী দলনেতা।
সোমবার (২৪ মার্চ) সকালে শুভেন্দুর কিছুটা আগে ধস বিপর্যস্ত বেলগাছিয়ায় যান রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেন। আগামী তিনদিনের মধ্যে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হবে বলেই আশ্বাস দেন ফিরহাদ। এরপর দুপুরের দিকে বেলগাছিয়ায় যান শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে ছিলেন শংকর ঘোষ। বিরোধী দলনেতার দাবি, তাকে পুলিশ বাধা দেয়। কথা কাটাকাটির মাঝে তাকে শারীরিক হেনস্তা করা হয় বলেও অভিযোগ।
পুলিশের সঙ্গে কথাকাটাকাটি শুরু হয় বিজেপির প্রতিনিধি দলের। শাসক নেতাদের ঢুকতে দেওয়া হলেও বিরোধীদের বাধা কেন, প্রশ্ন তোলেন বিধানসভার বিজেপির মুখ্য সচেতক শঙ্কর ঘোষ।
এসময় হাতে আঁচড়ের দাগ দেখিয়ে শুভেন্দু দাবি করেন, ‘পুলিশ আমাকে ধাক্কা দিয়েছে। আমাকে রক্তাক্ত করেছে। এই রক্ত গুছিয়ে রাখলাম।’
এরপর বিজেপি নেতা সজল ঘোষ একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে সোজা বিধানসভায় যান। এদিকে বেলগাছিয়া থেকে বিধানসভায় পৌঁছান শুভেন্দু। বাইরে থেকে আসা চিকিৎসক শুভেন্দুর চিকিৎসা করেন। শুভেন্দু দাবী করেন তার আঘাত গুরুতর। অন্যদিকে শাসক দলের দাবি শুভেন্দুর রক্তাক্ত হওয়ার দাবি রাজনৈতিক স্ট্যান্ডবাজি।
শাসক দল তৃণমূলের দাবি, শুভেন্দু কেন বিধানসভার চিকিৎসককে দেখালেন না! তার চোট লাগার ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য তিনি নাটক সাজাচ্ছেন।