spot_img

এরদোয়ানের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল তুরস্ক

অবশ্যই পরুন

তুরস্কের আঙ্কারাসহ কয়েকটি শহরে ব্যাপক বিক্ষোভের সময় ৩৪৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুর গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। ইমামোগলু দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে পরিচিত।

বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া এই বিক্ষোভগুলো মূলত শান্তিপূর্ণ ছিল। তবে সরকার কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে আসে এবং ইমামোগলুর মুক্তির দাবি জানায়।

গত বুধবার দুর্নীতি ও সন্ত্রাসবাদে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ইমামোগলুকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির বরাতে জানা যায়, ইমামোগলুর সাথে সম্পর্কিত প্রায় ১০০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, যাদের মধ্যে তার প্রেস উপদেষ্টা মুরাত ওঙ্গুনও রয়েছেন। ইমামোগলুর দল দাবি করেছে যে, এসব অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

শুক্রবার এক বক্তৃতায় প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বিক্ষোভের নিন্দা জানিয়ে বলেন, তার সরকার ‘ভাঙচুর’ বা ‘রাস্তার সন্ত্রাসের’ কাছে আত্মসমর্পণ করবে না। তিনি আরও বলেন, ‘জনসাধারণের শৃঙ্খলায় কোনো ব্যাঘাত ঘটলে তা মেনে নেওয়া হবে না।’

বিক্ষোভকারীরা ইমামোগলুর গ্রেপ্তারকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন এবং এরদোয়ানের পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন। বিরোধীদের মতে, এটি ২০১৩ সালের সরকারবিরোধী আন্দোলনের পর সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ১৬ জন কর্মকর্তা আহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।

বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) নেতা ওজগুর ওজেল শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বিক্ষোভে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। শনিবার রাতে ইস্তাম্বুলের সিটি হলের সামনে তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন তিনি।

ইমামোগলুকে গ্রেপ্তারের পর ইস্তাম্বুলে চার দিনের জনসমাবেশ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তবে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে এবং তা আঙ্কারা ও ইজমির শহরেও ছড়িয়ে পড়েছে।

দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইয়ারলিকায়া বিরোধীদের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ আখ্যা দিয়ে জানান, অনলাইনে ঘৃণা উসকে দেওয়ার অভিযোগে আরও ৫৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তুরস্কের বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান ২২ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছেন। সংবিধান পরিবর্তন ছাড়া ২০২৮ সালে তিনি পুনরায় প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হতে পারবেন না। সূত্র- বিবিসি, সিএনএস

সর্বশেষ সংবাদ

প্রথম ম্যাচে মুম্বাইয়ের হার, নূর জাদুতে জিতলো চেন্নাই

২০১২ সালের পর থেকেই হার দিয়ে আইপিএল শুরু করে আসছে মুম্বাই। এবারও তার ব্যত্যয় ঘটলো না। পরাজয় দিয়ে আইপিএলে...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ