spot_img

শার্কটোপাস স্টোরি: বিশাল হাঙরের পিঠে চড়ে সমুদ্র ঘুরে বেড়াচ্ছে অক্টোপাস

অবশ্যই পরুন

ঘটনাটি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের। গবেষকরা নিউজিল্যান্ডের উপকূলে একটি বিরল ও চমকপ্রদ দৃশ্যের সাক্ষী হন। তারা একটি বড় হাঙরের পিঠে একটি কমলা রঙের মাওরি অক্টোপাসকে আঁকড়ে থাকতে দেখেন। শার্ক এবং অক্টোপাস— শার্কটোপাসের এই বিরল বন্ধুত্ব ক্যামেরাবন্দি করেন গবেষকদের একটি টিম।

শুক্রবার (২১ মার্চ) মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, মাওরি অক্টোপাস দক্ষিণ গোলার্ধের সবচেয়ে বড় অক্টোপাস প্রজাতি। এটি সাধারণত সমুদ্রের তলদেশে বাস করে। এই ঘটনাটি বিশেষভাবে অস্বাভাবিক। কারণ— হাঙরটি একটি শর্টফিন মাকো হাঙর, যা খুব কমই সমুদ্রের তলদেশে যায়। কীভাবে মাওরি অক্টোপাসটি শর্টফিন মাকো হাঙরের পিঠে চরলো, সেটি রহস্যময়।

গবেষক দলের সদস্য কনস্ট্যানটাইন বলেন, ‘অক্টোপাসটি হাঙরের মাথায় বেশ বড় জায়গা দখল করে ছিলো, যা দেখতে সত্যিই আশ্চর্যজনক ছিল।’

ঘটনাটি বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা প্রায় ১০ মিনিট ধরে এই দৃশ্য পর্যবেক্ষণ করেছি, কিন্তু এরপর কী হয়েছিল তা আমরা জানি না। তবে হাঙরটি ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারে, তাই অক্টোপাসটির জন্য এটি নিশ্চয়ই একটি উত্তেজনাপূর্ণ অভিজ্ঞতা ছিল।’

এই অস্বাভাবিক ঘটনাটি সামুদ্রিক জীবনের রহস্য এবং সমুদ্রের বিস্ময়ের আরেকটি উদাহরণ। গবেষকরা বলছেন, সমুদ্র ও এর বাস্তুতন্ত্র সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান এখনও অসম্পূর্ণ, এবং হাঙরের মতো শীর্ষ শিকারী প্রাণীরা এই বাস্তুতন্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এই ‘শার্কটোপাস’ মেলামেশা সমুদ্রের অজানা রহস্য এবং এর সৌন্দর্যের একটি অনুস্মারক। কনস্ট্যানটাইন বলেন, ‘সামুদ্রিক বিজ্ঞানী হওয়ার সবচেয়ে ভালো দিক হলো আপনি কখনই জানেন না সমুদ্রে এরপর কী দেখতে পাবেন। সংরক্ষণ উদ্যোগগুলোকে সমর্থন করার মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত করতে পারি যে এমন অসাধারণ মুহূর্তগুলো ভবিষ্যতেও ঘটতে থাকে।’

সর্বশেষ সংবাদ

আর্জেন্টিনা ম্যাচের আগে ব্রাজিলের স্কোয়াডে বড় পরিবর্তন

ফিফা মার্চ উইন্ডোতে জয় দিয়ে শুরু করেছে বিশ্ব ফুটবলের দুই পরাশক্তি ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ