পাকিস্তানের অনলাইন মিডিয়া চ্যানেল ‘রাফতার’-এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সম্পাদক ফারহান মল্লিককে রাষ্ট্রদ্রোহী পোস্ট ও ভুয়া তথ্য প্রচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফআইএ তাকে আটক করে এবং শুক্রবার (২১ মার্চ) আদালতে হাজির করলে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
পাকিস্তানের সংশোধিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় এই গ্রেপ্তার করা হয়, যেখানে ‘মিথ্যা বা আতঙ্ক সৃষ্টিকারী’ তথ্য প্রচারের দায়ে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। তবে ‘রাফতার’ চ্যানেল এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের পক্ষে কোনো শক্তিশালী প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি।
ফারহান মল্লিকের গ্রেপ্তারের ঘটনায় মানবাধিকার সংগঠনগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। হিউম্যান রাইটস কমিশন অব পাকিস্তান এক বিবৃতিতে বলেছে, “সরকারি সংস্থাগুলোর এমন পদক্ষেপ মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আঘাত।”
এদিকে, রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচকে পাকিস্তান বর্তমানে ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৫২তম স্থানে রয়েছে। বিশিষ্ট মানবাধিকার আইনজীবী ইমান মাজারি বলেন, “নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মূলত সাংবাদিকদের দমন ও সরকারের সমালোচনা বন্ধের জন্য আনা হয়েছে।”
পাকিস্তানে দীর্ঘদিন ধরে অনলাইন ও সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণের নীতি চালু রয়েছে। দেশটিতে একাধিকবার ইউটিউব, টিকটক সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, এমনকি বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’ (Twitter) পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়েছে।
ফারহান মল্লিকের গ্রেপ্তারের পর মিডিয়া ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষার আহ্বান জানিয়েছে।