spot_img

জীবনে বিয়ের প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না: কিটু গিদওয়ানি

অবশ্যই পরুন

কিটু গিদওয়ানির অভিনয়জীবন ৩৫ বছরের। দূরদর্শনে ‘তৃষ্ণা’, ‘স্বাভিমান’, ‘জুনুন’, ‘এয়ার হস্টেস’-এর মতো ধারাবাহিকে কাজ করেছেন। যখন যে চরিত্রে অভিনয় করেছেন দাগ কেটেছেন দর্শকহৃদয়ে। একেবারে লক্ষ্মীমন্ত নায়িকা তিনি কোনও দিনই নন। বরং দৃঢ়চেতা, উচ্চবিত্ত ঘরানার নারী চরিত্রেই ছিলেন মানাসই। ‘ফ্যাশন’ ছবিতে ‘অনীশা শ্রোফ’-এর চরিত্রে নজর কেড়েছিলেন। ক্যারিয়ারের শুরুতে আমির খানের ঠোঁটে ঠোঁট রেখে সাড়া ফেল দিয়েছিলেন। আজও আমিরের সঙ্গে বন্ধুত্ব রয়ে গেছে। দীর্ঘ পথ পেরিয়েও অভিনত্রীর কণ্ঠে আক্ষেপ— বলিউডে শিল্পের কদর কমেছে। বরং টাকা ছাপার মেশিনের মতো কাজ করছেন সবাই। দীর্ঘ ১৫ বছর পর কলকাতায় এলেন, নিজের আসন্ন ছবি ‘ম্যাডাম ড্রাইভার’-এর প্রচারে।

দীর্ঘ ৫৭ বছরের পথ পেরিয়ে এখনো তিনি সিঙ্গেল। জীবনে বিয়ে করার খুব একটা প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন এই অভিনেত্রী।

সম্প্রতি ভারতের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন তিনি। কিটু গিদওয়ানি বলেন, ‘আমি একা থাকতে ভালোবাসি। নিজের কাজের প্রতি যত্নশীল, ভালোলাগাকে গুরুত্ব দিই। জীবনে বিয়ে করার খুব একটা প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। নিজেকে বোঝা, নিজের মনকে বোঝা দরকার। নিজের জীবনে শান্তি থাকাটা দরকার। তা না হলে ভালো কাজ করবেন কীভাবে জীবনে? ঘুরে বেড়ান, বিভিন্ন জায়গা দেখুন, এই সমাজের জন্য কিছু করুন। বিয়েই সব নয়।’

কিটু বলেন, ‘অভিনেত্রী হিসেবে ৩৫ বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছি। অনেক পরিণত হয়েছি, কিন্তু যতটা কাজ পাওয়া আমার উচিত ছিল, ততটা পাচ্ছি না। আমি শুধু নায়ক-নায়িকার মা হওয়ার কাজ পাই। কিন্তু সরাসরি নাকচ করে দিই। এ ধরনের কাজ বড্ড একঘেয়ে লাগে। নারীকেন্দ্রিক সিনেমার অবস্থা খুব খারাপ। বরং ওটিটির পরিস্থিতি তুলনামূলক ভাল। আসলে ভারতে এখনও পিতৃতন্ত্রকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়। নারীদের আরও বেশি করে সুযোগ পাওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। বেশি বয়সের অভিনেত্রীদেরও সুযোগ দেওয়া উচিত। আমরা তো বেঁচে আছি এখনও।’

অভিনেত্রী বলেন, ‘পশ্চিমের দেশগুলিকে দেখলে হিংসা হয়। ব্রিটেনে বেশি বয়সি মহিলাদের নিয়ে যে ভাবে ভাবা হচ্ছে, তা সত্যিই ঈর্ষা করার মতো। একজন পেশিবহুল পুরুষ কোনও জটিল সমস্যার সমাধান করেছেন, এটা দেখার থেকে একজন মহিলা কীভাবে ভাবছেন, কীভাবে কথা বলছেন, সেটা দেখতে দর্শকও উৎসাহী হবেন। আমার তো তা-ই মনে হয়। আমাদের এখনকার মানুষ খুব ভিতু। কারণ তাদের টাকার প্রয়োজন।’

সর্বশেষ সংবাদ

রাষ্ট্রপতির ক্ষমা করার ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ ও বিচার বিভাগ বিকেন্দ্রীকরণে দলগুলো একমত

রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণে সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ সংশোধনে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছেছে। তবে কী আইন বা নীতি...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ