গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ এনে রাশিয়া দুই ব্রিটিশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে। সোমবার (১০ মার্চ) তাদেরকে দুই সপ্তাহের মধ্যে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। যুক্তরাজ্য এই অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সাম্প্রতিক মন্তব্যে ক্ষুব্ধ মস্কো। স্টারমার বলেছেন, ব্রিটিশ সেনারা সম্ভাব্য শান্তিরক্ষী বাহিনীর অংশ হিসেবে ইউক্রেইনে মোতায়েন হতে পারে এবং যুদ্ধবিমান পাঠানোর সম্ভাবনাও রয়েছে।
এই বহিষ্কার এমন সময়ে এলো, যখন লন্ডনের একটি আদালত রাশিয়ার গুপ্তচর ইউনিটের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তিন বুলগেরীয় নাগরিককে দোষী সাব্যস্ত করেছে।
রাশিয়ার ফেডারেল নিরাপত্তা সংস্থা (এফএসবি) দাবি করেছে, বহিষ্কৃত কূটনীতিকরা দেশে প্রবেশের সময় ভুল তথ্য দিয়েছিলেন এবং তাদের কার্যক্রম রাশিয়ার নিরাপত্তার জন্য হুমকি তৈরি করছিল।
ক্রেমলিন জানিয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ব্রিটেন উত্তেজনা বাড়ালে রাশিয়াও পাল্টা ব্যবস্থা নেবে বলে সতর্ক করেছে মস্কো।
এর আগে ২০২২ সালে ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর আগ্রাসন শুরুর পর থেকে পাল্টাপাল্টি দূত বহিষ্কারের ফলে পশ্চিমা দেশগুলোতে রাশিয়ার দূতাবাসের কার্যক্রম ব্যাপকভাবে সংকুচিত হয়ে পড়েছিল। একইভাবে পশ্চিমা দেশগুলোর দূতাবাসগুলোর কার্যক্রমও রাশিয়ায় সীমিত হয়ে পড়েছিল।