নরসিংদীতে পৃথক স্থানে ধর্ষণের অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (৮ মার্চ) বিকেলে ও সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- ইকবাল ও সাইফুল ইসলাম। এদের মধ্যে ২৩ বছর বয়সী গর্ভবতী এক তরুণীকে তিনদিন আটকে রেখে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ইকবাল ও ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তাদের মধ্যে ইকবাল নরসিংদীর পাঁচদোনা ইউনিয়নের আসমান্দীচর এলাকার বাসিন্দা ও সাইফুল ইসলামের বাড়ি কুমিল্লায়।
মাধবদী থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অন্তঃসত্ত্বা এক তরুণীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইকবাল নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগে ওই তরুণী উল্লেখ করেন, গত ১৯ থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাকে পাঁচদোনার একটি ভবনে আটকে রেখে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। এরপর শনিবার (৮ মার্চ) ওই তরুণী লিখিত অভিযোগ দিলে পাঁচদোনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইকবালকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ আরও জানায়, ভুক্তভোগী ওই তরুণীর স্বামী মাদক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি থাকায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। তাকে জামিনে মুক্ত করার কথা বলে পাঁচদোনায় নিয়ে গিয়ে একটি ভবনে আটকে রেখে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। পরে ওই নারী লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি কাউকে না জানিয়ে চুপচাপ থাকে। পরে তার স্বামী বিষয়টি কোনোভাবে জানতে পেরে তাকে অনেক জিজ্ঞাসাবাদের পর সব বিষয় খুলে বলে। এরপরই তারা থানার শরণাপন্ন হন।
নরসিংদী মাধবদী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নজরুল ইসলাম বলেন, গতকাল শনিবার দুপুরে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ এনে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ওই তরুণী। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইকবাল নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা ও আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান।
অন্যদিকে নরসিংদী পৌর শহরের গাবতলী এলাকায় ৬ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে স্থানীয় তারতীকুল কুরান মাদরাসার দারোয়ান সাইফুল ইসলামকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কাছে সোপর্দ করে এলাকাবাসী। শনিবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যায় গাবতলী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
এসময় স্থানীয় জনগণের হাতে গণধোলাইয়ের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তের মধ্যে ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। খবর পেয়ে নরসিংদী সদর থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাকে উদ্ধার করে সদর মডেল থানায় নিয়ে আসে।
নরসিংদী মডেল থানার উপপরিদর্শক সাইদুর রহমান জানান, মাদ্রাসার একটি শিশু মাদ্রাসার ভেতরে থাকা একটি দোকান থেকে খাবার কিনতে যাওয়ার সময় দারোয়ান তাকে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে ইফতারের পর বিষয়টি জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ জনতা তার ওপর হামলা চালায়। খবর পেয়ে আমরা (পুলিশ) ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিকে থানায় নিয়ে আসি। এঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।