যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) জানিয়েছেন, তিনি সম্ভবত তার প্রথম বিদেশ সফরে সৌদি আরবে যাবেন। কারণ রিয়াদ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করতে সম্মত হয়েছে। যার মধ্যে সামরিক সরঞ্জাম কেনাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প জানান, আগামী দেড় মাসের মধ্যে তিনি সৌদি আরবে সফর করতে পারেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, তার প্রথম প্রেসিডেন্ট মেয়াদের প্রথম বিদেশ সফরও ছিল রিয়াদে, যেখানে তিনি সৌদি আরবের সঙ্গে ৩৫০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ চুক্তি ঘোষণা করেছিলেন।’ খবর জিও নিউজের।
এইবার, তারা আরও ধনী হয়েছে, আর আমরা সবাই একটু বয়স্ক হয়েছি,’ মন্তব্য করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, তার অনুরোধে সৌদি আরব আগামী চার বছরে মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোতে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে সম্মত হয়েছে, যার মধ্যে মার্কিন সামরিক সরঞ্জাম কেনাও অন্তর্ভুক্ত।
তারা এতে রাজি হয়েছে, তাই আমি সেখানে যাচ্ছি। আমার সঙ্গে তাদের দারুণ সম্পর্ক রয়েছে। এবং তারা সবসময় আমার প্রতি সদয় আচরণ করেছে,’ বলেন ট্রাম্প।
সৌদি আরব সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করতে সৌদি আরব এককভাবে মার্কিন-ইউক্রেন বৈঠকের আয়োজন করবে।
ফেব্রুয়ারিতে, ট্রাম্প পিজিএ ট্যুর এবং সৌদি মালিকানাধীন লিভ গলফের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, যাতে এই দুই সংস্থার মধ্যে চলমান দ্বন্দ্বের সমাধান করা যায়।
ট্রাম্পের প্রথম প্রেসিডেন্ট মেয়াদে তার জামাতা এবং মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক উপদেষ্টা জারেড কুশনার একটি প্রাইভেট ইকুইটি ফার্ম চালু করেন, যা ট্রাম্পের হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর সৌদি আরব থেকে ২ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ পায়।
সম্প্রতি, ট্রাম্প বেশ কয়েকটি বড় প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে ব্যাপক বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন, যার মধ্যে তাইওয়ানের সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং এবং অ্যাপল রয়েছে।