দক্ষিণ কোরিয়ার পোচিওন শহরে একটি যুদ্ধবিমান থেকে দুর্ঘটনাবশত আটটি বোমা ফেলা হলে সাতজন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। খবর বিবিসির।
স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৪ মিনিটে দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান বাহিনীর কেএফ-১৬ ফাইটার জেট একটি প্রশিক্ষণ মহড়ার সময় ভুল করে নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুর বাইরে বোমাগুলো ফেলে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আটটি বোমার মধ্যে শুধুমাত্র একটি বিস্ফোরিত হয়েছে, বাকিগুলো নিষ্ক্রিয় করা হচ্ছে।
পোচিওন প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সেনাবাহিনীর বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল দ্রুত এলাকায় পৌঁছে অবিস্ফোরিত বোমাগুলো নিরাপদে নিষ্ক্রিয় করার কাজ করছে। নিরাপত্তার স্বার্থে আশপাশের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। যদিও বেসামরিক এলাকার কাছে মাঝে মাঝে সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়, তবে এত বড় ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা বিরল।
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, আহতদের মধ্যে দু’জনের ঘাড় ও কাঁধে গুরুতর আঘাত লেগেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের কেএফ-১৬ যুদ্ধবিমান ভুল করে এমকে-৮২ বোমার আটটি শেল ফেলে দেয়, যা নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুর বাইরে পড়ে।
বিমান বাহিনী দুঃখ প্রকাশ করে জানিয়েছে যে, এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হবে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। দুর্ঘটনায় একটি গির্জার ভবন ও বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, কিছু স্থাপনার জানালা ভেঙে গেছে এবং গির্জার ছাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের সামরিক মহড়াটি মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে একটি যৌথ প্রশিক্ষণের অংশ ছিল। দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র ১০ মার্চ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত যৌথ মহড়া পরিচালনার পরিকল্পনা করেছে।
এটি এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নিয়ে দুই দেশ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। একই সঙ্গে, এটি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর প্রথম যৌথ সামরিক মহড়া।