রমজান মুসলমানদের জন্য পবিত্র একটি মাস। এই মাসে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পবিত্রতার সাথে রোজা রাখেন। অনেকেই সাহ্রির পর ঘুমিয়ে পড়েন। ফলে মুখে দুর্গন্ধ জন্ম নেয়। সেক্ষেত্রে ব্রাশ করবেন কিনা এমন দ্বিধায় থাকেন।
এ ব্যাপারে ইসলাম বলছে, রোজা রাখার সময় দাঁত ব্রাশ করা যেতে পারে, তবে কিছু শর্ত রয়েছে যেগুলি মেনে চলা উচিত। ইসলামী শরিয়ত অনুসারে, রোজা অবস্থায় দাঁত ব্রাশ করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি, বিশেষ করে এমন কোনো কিছু যাতে মুখের মধ্যে পানি বা পেস্ট গিলতে না হয়।
দাঁত ব্রাশ করার ক্ষেত্রে কিছু পরামর্শ:
সতর্কভাবে পানি বা পেস্ট গিলবেন না: দাঁত ব্রাশ করার সময় যদি আপনি কোনো কিছু গিলে ফেলেন, তাহলে রোজা ভেঙে যাবে। তাই মুখের মধ্যে অতিরিক্ত পানি বা দাঁত ব্রাশের পেস্ট গিলতে সাবধানে থাকুন।
স্বল্প পানি ব্যবহার করুন: রোজা অবস্থায় দাঁত ব্রাশ করতে চাইলে, আপনি শুকনা ব্রাশ বা সিলভার ব্রাশ ব্যবহার করতে পারেন, যাতে অতিরিক্ত পানি ব্যবহার থেকে বিরত থাকেন।
মুখ পরিষ্কার করুন, তবে সাবধানে: দাঁত ব্রাশ করার সময় খুব বেশি পানি মুখে না নিয়ে, সাবধানে মুখ পরিষ্কার করতে হবে। যদি ভুলবশত পানি গিলে ফেলেন, তবে রোজা ভেঙে যাবে এবং আপনাকে তা পুনরায় পালন করতে হবে।
এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ হলো, রোজা অবস্থায় মেসওয়াক বা প্রয়োজনে সাবধানতার সঙ্গে দাঁত ব্রাশও করা যেতে পারে। গন্ধ ও স্বাদবিহীন টুথপেস্ট পাওয়া যায়। একান্তই না পারলে মেসওয়াক কার্যকর। তবে সেটা যেন নরম ও নিয়ম মাফিক হয়। শক্ত মেসওয়াক বা ব্রাশ দাঁতের প্রতিরক্ষা আবরণকে ক্ষয় করতে পারে, মাড়ি থেকে রক্ত বের হতে পারে, তাই এগুলো বিবেচনায় রাখতে হবে।
ইফতার ও সাহ্রির পর অন্তত দুই মিনিট করে নিয়ম অনুযায়ী দাঁত ও মুখ পরিষ্কার করা। সাহ্রির পর ডেন্টাল ফ্লস করা; প্রয়োজনে অ্যালকোহলমুক্ত মাউথওয়াশ ব্যবহার করা। অজুর সময় ভালোমতো কুলি করা ও মাড়ি ম্যাসাজ করা উচিত।
সার্বিকভাবে:
রোজা রাখা অবস্থায় দাঁত ব্রাশ করা যেতে পারে, তবে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যাতে অতিরিক্ত পানি বা পেস্ট গিলে না ফেলেন। তাই যদি আপনি দাঁত ব্রাশ করতে চান, তবে সাবধানতার সাথে করুন এবং যদি মনে হয় গিলতে হতে পারে, তবে এটি এড়িয়ে চলুন।