ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই তো ক্রিকেট যুদ্ধ। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর এই ম্যাচ ঘিরে দর্শকদের মাঝেও থাকে বাড়তি উত্তেজনা-উন্মাদনা। ক্রিকেটের মহারণ, ধ্রুপদী কিংবা রোমাঞ্চকর লড়াই— কত বিশেষণে বিশেষায়িত হয় এই দুই দলের খেলা। আরও একবার মুখোমুখি তারা। এবার মঞ্চ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দু’দল।
বাংলাদেশকে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে ইতিমধ্যেই দারুণ শুরু করেছে মেন ইন ব্লু’রা। একই ভেন্যুতে পাকিস্তানের বিপক্ষেও খেলবে রোহিত-কোহলিরা। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান শুভমান গিলের সাথে ৫ উইকেট নেয়া মোহাম্মদ শামি যেমন হতে পারেন পাকিস্তানের জন্য থ্রেট; তেমনি রোহিত শর্মা, ভিরাট কোহলি, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজাদের মতো অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একঝাঁক তারকা প্রস্তুত পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়াইয়ের জন্য।
বিপরীতে, পাকিস্তানের জন্য ঘরের মাঠে শুরুটা হয়েছে দুঃস্বপ্নের মতো। নিউজিল্যান্ডের কাছে ৬ উইকেটে হেরেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। তার ওপর প্রথম ম্যাচেই ফখর জামানের ইনজুরি আরও ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে পাকিস্তানকে। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে তাদের একাদশে একটি পরিবর্তন আসছেই। ফখরের ইনজুরিতে স্কোয়াডে ডাক পাওয়া ইমাম উল হককে দেখা যেতে পারে এই ম্যাচে। তবে, শক্তিশালী ভারতকে হারাতে বাবর-রিজওয়ানদের ব্যাটে যেমন আসতে হবে বড় রান, তেমনি শাহীন আফ্রিদি, নাসিম শাহদের কাছে অগ্নিঝড়া বোলিং প্রত্যাশা থাকবে পাক ভক্তদের।
ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ বরাবরই যোগায় বাড়তি রসদ। যদিও পরিসংখ্যানের খাতায় সেই লড়াই একেবারেই একপেশে। আইসিসি ইভেন্ট মানেই যেন, ভারতের কাছে পাকিস্তানের অসহায়ত্বের চিত্র। পাকিস্তানের জন্য একমাত্র সুখস্মৃতি ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনাল, যেখানে বৈশ্বিক আসরে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জেতে দলটি। যদিও এরপর মুখোমুখি হওয়া পাঁচ ম্যাচের কোনোটিতেই আর ভারতকে হারাতে পারেনি পাকিস্তান। সবশেষ দেখায় ২০২৩ বিশ্বকাপে আহমেদাবাদে ৭ উইকেটের জয় পায় রোহিত শর্মার দল।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেই সুখস্মৃতি কি আবারও ফেরাতে পারবে পাকিস্তান? নাকি আবারও মাঠের লড়াইয়ে দেখা মিলবে শুধুই ভারত দাপট- অপেক্ষায় কোটি কোটি ভক্ত। উত্তর পাওয়া যাবে রোববার দুবাইতে।