spot_img

বাতিল হওয়া নিয়োগ ফিরে পেতে প্রশাসনিক উদ্যোগের সুযোগ নেই: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

অবশ্যই পরুন

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে বাতিল হওয়া নিয়োগ ফিরে পাওয়ার বিষয়ে প্রশাসনিকভাবে কোনো উদ্যোগ নেওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। তিনি বলেন, হাইকোর্টের রায়ের জন্য অপেক্ষা করব।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) তিন দিনের জেলা প্রশাসক সম্মেলনের শেষ দিনের প্রথম কর্ম অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।

বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, ওনাদের এ বিষয়টা নিয়ে হাইকোর্টে একটা রায় হয়েছে। যেটাতে ওনারা সন্তুষ্ট নয়, ক্ষুব্ধ। আমরা আপিল করেছি। আমরা আপিলে রয়েছি এবং আমরা দেখব কোর্ট কি বলে; যেহেতু কোর্টে এটা বিচারাধীন বিষয়, প্রশাসনিকভাবে বা আলাদাভাবে কোনো উদ্যোগ নেওয়ার সুযোগ নাই।

শিক্ষকদের কেন রাস্তায় নামতে হয় দাবি নিয়ে– এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করব না। যেহেতু একটা বিষয় কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে এবং আমরা আপিল করেছি। সুতরাং এ বিষয়ে আমার মন্তব্য করার কোনো সুযোগ নেই।

আন্দোলনরতদের বিষয়ে উপদেষ্টা সহানুভূতিশীল কি না জানতে চাওয়া হয়। জবাবে তিনি বলেন, আমরা যখন তাদের ফল ঘোষণা করেছি তখন আমরা শুধু আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে স্বাধীনভাবে ফল ঘোষণা করিনি, আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং আইন মন্ত্রণালয়; ওনাদের মতামত নিয়ে ফল ঘোষণা করেছি। আমরা মনে করেছি, একটা কাঠামোতে কাজ করেছি। সেই হিসাবে আমি তাদের দাবির সঙ্গে বা তারা যেটা চাচ্ছেন সেটার প্রতি এক ধরনের সহানুভূতি রয়েছে। আমরা মনে করেছি এটা আইনসম্মত, সেভাবে আমরা করেছি।

প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার সমস্যা বিভিন্ন রকমের এবং সরকার শিক্ষক শূন্যতা পূরণে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ দেবে বলেও জানান বিধান রঞ্জন রায়।

শিক্ষার্থীদের কাছে যথাসময়ে বই পৌঁছাতে না পারার বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ৮৫ শতাংশের ওপরে বই পৌঁছে গেছে। ফলে এ মাসের মধ্যে প্রাথমিকের সব বই স্কুলে চলে যাবে।

প্রসঙ্গত, তিন ধাপে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু তৃতীয় ধাপ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

২০২৩ সালের ১৪ জুন তৃতীয় ধাপের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। লিখিত-মৌখিক পরীক্ষা শেষে গত বছরের ৩১ অক্টোবর ফলাফল প্রকাশিত হয়। এতে ৬ হাজার ৫৩১ জন উত্তীর্ণ হন। নিয়োগবঞ্চিত কয়েকজন রিট করলে ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। পরে গত ৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট তাদের নিয়োগ কার্যক্রম বাতিল করে রায় দেন।

সর্বশেষ সংবাদ

রাজশাহীগামী বাসে ডাকাতি ও নারীর শ্লীলতাহানীর ঘটনায় গ্রেফতার ৩

ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী বাসে ডাকাতি ও নারী শ্লীলতাহানীর ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে চাকু,...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ