বাংলাদেশের জন্য ২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা সুরক্ষার অর্থায়ন বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসাথে ভারতের জন্য ২১ মিলিয়ন ডলারের নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও ভোটারদের উপস্থিতি বাড়ানোর লক্ষ্যে পরিকল্পিত প্রোগ্রামও বাতিল করা হয়েছে।
মার্কিন এফিসিয়েন্সি ডিপার্টমেন্টের এক এক্স পোস্টে রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। বাতিল হওয়া কিছু উল্লেখযোগ্য প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে:
- মোজাম্বিক- পুরুষদের স্বেচ্ছামূলক শল্যচিকিৎসা (Circumcision) এর জন্য ১০ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন।
- কম্বোডিয়া- যুবকদের উদ্যোগভিত্তিক দক্ষতা অর্জনের জন্য ৯.৭ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন।
- কম্বোডিয়া- স্বাধীন কণ্ঠস্বরের শক্তিশালীকরণের জন্য ২.৩ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন।
- প্রাগ সিভিল সোসাইটি সেন্টার-এর জন্য ৩২ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন।
- লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন কেন্দ্র-এর জন্য ৪০ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন।
- সার্বিয়াতে পাবলিক প্রোকিউরমেন্ট উন্নত করার জন্য ১৪ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন।
- মোলদোভাতে মৌলিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের জন্য ২২ মিলিয়ন ডলার এবং ভারতে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য ২১ মিলিয়নসহ ৩৮৬ মিলিয়ন ডলার ডলার অর্থায়ন।
- বাংলাদেশ-এ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা শক্তিশালীকরণের জন্য ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন।
- নেপালে “ফিসকাল ফেডারেলিজম” উন্নত করার জন্য ২০ মিলিয়ন এবং “জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ” প্রকল্পের জন্য ১৯ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন।
- লাইবেরিয়াতে ভোটারদের আস্থা তৈরির জন্য ১.৫ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন।
- মালিতে সামাজিক সমন্বয় উন্নত করার জন্য ১৪ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন।
- দক্ষিণ আফ্রিকাতে অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতন্ত্র গড়ার জন্য ২.৫ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন।
- এশিয়ায় শিক্ষা উন্নত করার জন্য ৪৭ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন।
- কসোভো রোমা, আশকালি ও ইজিপ্ট-এর মধ্যে সামাজিক-অর্থনৈতিক সমন্বয় বৃদ্ধি করার জন্য ২ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন।
বাংলাদেশে ২৯ মিলিয়ন ডলারের প্রোগ্রামটি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি এবং গণতান্ত্রিক শাসনকে আরও উন্নত করার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছিল। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ও ব্যাপক বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে গত বছরের আগস্টে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। হাসিনা পালিয়ে ভারতে চলে যান এবং ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার এখন দেশ শাসন করছে এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে।