শবে বরাত উপলক্ষে বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়েছে মাংসের বাজারে। মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৪০ টাকা। অন্যদিকে সুযোগ নিচ্ছেন গরু আর খাসীর মাংসের বিক্রেতারাও। কেজিতে দাম বাড়িয়েছে ৫০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত। তবে, যথেষ্ট সরবরাহ থাকায়, বেশিরভাগ শীতকালীন সবজি মিলছে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজিতে। আজ শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বেশকিছু বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন তথ্য।
বাংলাদেশে যেকোনো উৎসবে পণ্যের দাম বৃদ্ধি যেনো নিয়মিত বিষয়। ব্যতিক্রম হয়নি এবারও। শবে বরাত উপলক্ষে বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়, এমন খাদ্য পণ্যের দাম বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি আঁচ লেগেছে মাংসের বাজারে। সব ধরণের মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে সর্বোচ্চ ৪০ টাকা পর্যন্ত। দুইশো টাকা কেজির ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে এক কেজি দেশি মুরগির জন্য গুণতে হচ্ছে, আকারভেদে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা। সোনালি জাতের মুরগি ৩২০ টাকা কেজির নীচে মিলছে না।
একজন বিক্রেতা বলেন, বর্তমান বাজারের পণ্যের সংকট সেজন্য দাম বেড়ে গেছে। চাহিদানুযায়ী পণ্য সরবরাহ না থাকায় দাম ক্রেতাদের কাছ থেকে বাড়তি দাম নেয়া হচ্ছে।
বাড়তি চাহিদার সুযোগ নিচ্ছেন গরু আর খাসীর মাংসের বিক্রেতারাও। কেজিতে দাম বাড়িয়েছেন ৫০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত। বাজারভেদে এক কেজি গরুর মাংসের জন্য দিতে হবে ৮শ’ থেকে ৮২০ টাকা। যা গতকাল পাওয়া গেছে ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকা। আর খাসীর মাংসের স্বাদ নিতে চাইলে দিতে হবে ১১শ’ টাকার বেশি।
একজন ক্রেতা বলেন, অন্যদিন থেকে আজ শবে বরাত উপলক্ষে গরুর মাংসের দাম বেশি নিচ্ছে। কেজিতে ৫০ টাকা করে বেশি দিতে হচ্ছে। তবে স্বস্তি আছে সবজির বাজারে। যথেষ্ট সরবরাহ থাকায়, বেশিরভাগ শীতকালীন সবজি মিলছে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজিতে। তবে ব্যতিক্রম আছে গ্রীষ্মকালীন সবজির দরে। শসা, করলা, বরবটি সহ কয়েকটি সবজির জন্য গুণতে হবে ৮০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত।