spot_img

দেড় ঘণ্টার ফোনালাপ, যেখানে একমত ট্রাম্প-পুতিন

অবশ্যই পরুন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী ফোনালাপ করেছেন। দীর্ঘ এ আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে জানিয়ে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তারা চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পাশাপাশি অন্যান্য ইস্যু নিয়েও আলোচনা করেছেন।

বুধবার বার্তাসংস্থা আনাদোলু এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে তার দীর্ঘ এবং অত্যন্ত ফলপ্রসূ কথোপকথন হয়েছে বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমরা ইউক্রেন, মধ্যপ্রাচ্য, জ্বালানি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ডলারের শক্তি এবং অন্যান্য বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।’

তিনি বলেন, ‘তারা প্রত্যেকে তাদের দেশের শক্তি এবং সেই মহান সুবিধা সম্পর্কে কথা বলেছেন যে তাদের একদিন এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।’

ট্রাম্প আরও বলেন, ‘কিন্তু প্রথমে আমরা উভয়ে একমত হয়েছি, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধে যে লাখ লাখ মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে তা আমরা বন্ধ করতে চাই। প্রেসিডেন্ট পুতিন আমার খুব প্রচারাভিযানের শক্তিশালী নীতিবাক্য ব্যবহার করেছেন, ‘‘কমন সেন্স’’। আমরা উভয়েই এটিতে খুব দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা একে অপরের দেশে সফরে যাওয়াসহ, খুব ঘনিষ্ঠভাবে একসাথে কাজ করতে সম্মত হয়েছি। আমরা আমাদের নিজ নিজ দলগুলোকে অবিলম্বে আলোচনা শুরু করতে দিতে সম্মত হয়েছি এবং সেটা আমরা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে ফোন করে তাকে কথোপকথনের বিষয়ে অবহিত করার মাধ্যমে শুরু করব, যা আমি এখনই করব।’

ট্রাম্প বলেছেন, ‘তিনি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, সিআইএ পরিচালক জন র‍্যাটক্লিফ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ওয়াল্টজ এবং তার বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফকে আলোচনার নেতৃত্ব দিতে বলেছেন। রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট আরও বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে আলোচনা সফল হবে।’

ট্রাম্প তার আগের সেই দাবিই এদিন পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে, তিনি যদি প্রেসিডেন্ট থাকতেন তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ কখনোই শুরু হতো না। এসময় আর কোনও প্রাণহানি হওয়া উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সর্বাত্মক হামলা শুরুর পর থেকে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। প্রায় তিন বছর ধরে চলা এই যুদ্ধে ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝিয়া— চারটি প্রদেশের আংশিক দখল নিয়েছে রুশ বাহিনী।

সর্বশেষ সংবাদ

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রস্তুতি ম্যাচে শান্তদের প্রতিপক্ষ যারা

আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্দা উঠবে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন ট্রফির নবম আসরের। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে। এর আগে একটি...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ