spot_img

অশ্লীলতা পরিত্যাজ্য

অবশ্যই পরুন

অশ্লীলতা মানুষের চরিত্রকে কুলসিত করে। তাদের নেক-আমলকে ধ্বংস করে দেয়। মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের জন্য অশ্লীলতাকে নিষিদ্ধ করেছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ দিয়েছেন, আপনি বলুন, আমার রব প্রকাশ্য, অপ্রকাশ্য অশ্লীলতা, পাপকাজ, অন্যায় ও অসংগত বিদ্রোহ ও বিরোধিতা এবং আল্লাহর সঙ্গে কোনো কিছুকে শরিক করা, যার পক্ষে আল্লাহ কোনো দলিল-প্রমাণ অবতীর্ণ করেননি, আর আল্লাহ সম্বন্ধে এমন কিছু বলা, যা সম্বন্ধে তোমাদের কোনো জ্ঞানই নেই, (ইত্যাদি কাজ ও বিষয়) নিষিদ্ধ করেছেন। (সুরা আরাফ, আয়াত : ৩৩)

অশ্লীলতা সমাজকে নোংরা করে দেয়। মানুষের মন-মস্তিষ্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। আল্লাহর ইবাদত থেকে বিমুখ হয়ে শয়তানের পূজায় লিপ্ত হতে বাধ্য করে। শয়তানের অন্যতম কাজ হলো, মানুষকে অশ্লীলতার মোহে ফেলে বিভ্রান্ত করা। জাহান্নামের পথে ধাবিত করা। আল্লাহ বলেন, ‘অবশ্যই সে (শয়তান) তোমাদের মন্দ ও অশ্লীল কাজের নির্দেশ দেয়। আর যেন তোমরা আল্লাহর ব্যাপারে এমন কথা বলো যা তোমরা জানো না।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৬৯)

তাই মুসলমানের জন্য সব ধরনের অশ্লীলতায় লিপ্ত হওয়া, অশ্লীল জিনিসগুলো গ্রহণ করা বা প্রচার করা নিষিদ্ধ। যারা ক্ষণিকের বিনোদন নিতে গিয়ে এসব কাজে লিপ্ত হবে, তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি অপেক্ষা করছে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই যারা মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার কামনা করে, তাদের জন্য আছে দুনিয়া ও আখিরাতে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। আর আল্লাহ জানেন, তোমরা জানো না।’ (সুরা : নুর, আয়াত : ১৯)

শুবাইল ইবনে আওফ (রা.) বলেন, কথিত আছে, কোনো ব্যক্তি যদি অশ্লীল কথা শোনে এবং তা ছড়িয়ে দেয়, তবে সে অশ্লীলতার উদ্ভাবকের সমতুল্য পাপী। (আদাবুল মুফরাদ, হাদিস : ৩২৫)

নাউজুবিল্লাহ। এটা এতটাই ভয়াবহ বিষয় যে এর শাস্তি দুনিয়া থেকেই শুরু হয়ে যায়। কখনো কখনো সমাজে ব্যাপক ভাবে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়লে আসমানি আজাব-গজব নেমে আসে। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, আবদুল্লাহ বিন উমর (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের দিকে এগিয়ে এসে বললেন, হে মুহাজিরগণ! তোমরা পাঁচটি বিষয়ে পরীক্ষার সম্মুখীন হবে। তবে আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি যেন তোমরা তার সম্মুখীন না হও। (তার মধ্যে একটি হলো) যখন কোনো জাতির মধ্যে প্রকাশ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে তখন সেখানে মহামারি আকারে প্লেগ রোগের প্রাদুর্ভাব হয়। তা ছাড়া এমন সব ব্যাধির উদ্ভব হয়, যা আগেকার লোকদের মধ্যে কখনো দেখা যায়নি…। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৪০১৯)

তাই আমাদের সবার উচিত, সব ধরনের অশ্লীলতা থেকে দুরে থাকার সর্বাত্মক চেষ্টা করা। বিগত দিনের কর্মের জন্য আল্লাহর কাছে লজ্জিত হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করা। অশ্লীলতার প্রচার-প্রসারে সহযোগিতা না করা এবং কেউ লিপ্ত হলে তাকে ‘নাহি আনিল মুনকার’ এর মাধ্যমে আল্লাহর পথে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা।

সর্বশেষ সংবাদ

শনিবারের মধ্যে বন্দিদের মুক্তি না দিলে গাজায় ফের যুদ্ধ শুরুর হুমকি নেতানিয়াহুর

শনিবার দুপুরের মধ্যে হামাস জিম্মিদের মুক্তি না দিলে গাজায় যুদ্ধবিরতি বাতিল হয়ে যাবে। আবারও শুরু হবে যুদ্ধ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ