spot_img

চীনা ‘আগ্রাসনের’ বিরুদ্ধে একত্রে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ট্রাম্প–ইশিবার

অবশ্যই পরুন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা তাদের প্রথম বৈঠকে উষ্ণ সুরে কথা বলেছেন। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) হোয়াইট হাউসে বৈঠক করেন এ দুই নেতা। ট্রাম্প যেসব দেশের ওপর শুল্ক আরোপ করেছেন বৈঠকের পর তা এড়াতে সক্ষম হয়েছে জাপান।

হোয়াইট হাউসে বৈঠকে পরস্পরের প্রশংসা করার পাশাপাশি দুই নেতা চীনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন। প্রশান্ত মহাসাগরে চীনের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং পারমাণবিক অস্ত্রধারী উত্তর কোরিয়া নিয়ে উদ্বেগের কারণে উভয় দেশই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।

ট্রাম্পের পক্ষ থেকে জাপানের সঙ্গে মার্কিন বাণিজ্যঘাটতি শূন্যে নামিয়ে আনার জন্য ইশিবাকে চাপ দেয়া হয়। ট্রাম্প সতর্ক করে বলেন, বাণিজ্যঘাটতি পূরণ না হলে টোকিওকেও অন্যদের মতো শুল্ক আরোপের মুখে পড়তে হবে। জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের মতো ট্রাম্পের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার চাপে রয়েছেন ইশিবা। বৈঠকের পর দুই নেতা জোর দিয়ে বলেছেন, তারা উভয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে আগ্রহী।

প্রসঙ্গত, গত ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পর হোয়াইট হাউসে দ্বিতীয় কোনো বিদেশি নেতা হিসেবে সফর করছেন ইশিবা। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই সপ্তাহে ট্রাম্পের প্রথম অতিথি ছিলেন। ইশিবা তার এক দিনের সফরে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটন যান। পরে শুক্রবার দুপুরে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন।

বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইশিবা বলেন, ‘টেলিভিশনে ট্রাম্পকে দেখে অত্যন্ত ভীতিকর ও কঠিন ব্যক্তিদের মানুষ মনে হয়েছিল। কিন্তু তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের পর দেখেছি, তিনি খুবই আন্তরিক ও শক্তিশালী একজন ব্যক্তি।’ ট্রাম্পের পক্ষ থেকেও ইশিবার প্রশংসা করা হয়। তাকে সুদর্শন বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প।

যুক্তরাষ্ট্র যদি জাপানের ওপর শুল্ক আরোপ করে তবে এর পাল্টা ব্যবস্থা ইশিবা নেবেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে জাপানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাত্ত্বিক প্রশ্নের’ উত্তর দেন না তিনি। ট্রাম্প এ কথায় হেসে বলেন, খুব ভালো উত্তর। এ সময় ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইস্পাত কারখানা ইউএস স্টিলে বিনিয়োগ করবে জাপানের নিপ্পন স্টিল। তবে প্রতিষ্ঠানটি অধিগ্রহণ করবে না। ট্রাম্প বলেন, তারা ক্রেতার পরিবর্তে বিনিয়োগকারী খুঁজছেন। এর আগে বাইডেন প্রশাসন এ চুক্তিতে বাধা দিয়েছিল।

দুই নেতা নিরাপত্তা ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে দুই দেশের কয়েক দশক ধরে চলা সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার প্রতিশ্রুতির কথা বলেন। ট্রাম্প বলেছেন, তারা চীনা অর্থনৈতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সম্মত হয়েছেন। এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে উসকানিমূলক কার্যকলাপের জন্য বেইজিংয়ের নিন্দা করেছেন।

সূত্র : গার্ডিয়ান 

সর্বশেষ সংবাদ

জুলাই হত্যাকাণ্ড নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনকে স্বাগত জানালো অন্তর্বর্তী সরকার

জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ড নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনকে স্বাগত জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ