spot_img

সবজিতে স্বস্তি, অস্থির তেল-মাছ-মুরগির বাজার

অবশ্যই পরুন

দামের উত্তাপ কমছে না মাছের বাজারে। নদ-নদীর দেশি মাছের যোগান বাড়লেও, অধিকাংশ মাছ ক্রেতার নাগালের বাইরে। নতুন আসা গ্রীষ্মকালীন সবজির চড়া দাম হাঁকছেন বিক্রেতারা। ফের বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। কমিয়ে দেয়া হয়েছে সয়াবিন তেলের সরবরাহ। সরবরাহ ভালো থাকায় দাম কমেছে প্রতিটি শীতকালীন সবজির।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বেশকিছু বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন তথ্য।

দামের উত্তাপ ফের বেড়েছে পোল্ট্রি বাজারে। গত সপ্তাহে সামান্য কমলেও, চলতি সপ্তাহে আবারও চোখ রাঙানি দিচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। এক কেজির জন্য গুণতে হবে ২২০ টাকা। সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ৩৪০ টাকা।

স্থিতিশীল অবস্থায় আছে গরু আর খাসির মাংসের বাজার। এক কেজি গরুর মাংসের জন্য দিতে হবে সাড়ে সাতশো আর খাসির মাংসের স্বাদ নিতে চাইলে গুণতে হবে ১১শ’ টাকা।

স্থিতিশীল রয়েছে ডিমের দাম। প্রতি ডজন লাল ডিম ১৩০-১৩৫ টাকা ও সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ২৩৫-২৪০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শোল, বোয়াল, আইড়, বাইন নানান জাতের মাছে ভরপুর রাজধানীর মাছ বাজারগুলো। অথচ যোগান বৃদ্ধির প্রভাব নেই দামে। নদ-নদীর এসব মাছ ক্রেতার নাগালের বাইরে। ৮শ’ থেকে হাজার টাকা কেজির নীচে মিলছে না। দামে খুব একটা হেরফের নেই চাষের রুই-কাতলাতেও। আকারভেদে ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকা কেজি।

অস্থির হয়ে ওঠা ইলিশের বাজারে স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। বর্তমানে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২২০০ টাকায়। এছাড়া দেড় কেজি ওজনের ইলিশ ২৮০০ টাকা, ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১৮০০-১৯০০ টাকা হারে বিক্রি হচ্ছে, আর ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১৩০০-১৪০০ টাকা ও ৩০০-৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের জন্য গুনতে হচ্ছে ৭০০-৮০০ টাকা পর্যন্ত।

শীতকালীন শাকসবজিতে ভরপুর বাজার। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় রাজধানীতে এখন অনেকটাই স্থিতিশীল এই বাজার। অধিকাংশ শীতকালীন সব্জি মিলছে ২০ থেকে ৩০ টাকার কেজিতে। উঠতে শুরু করেছে গ্রীস্মকালীন সবজিও। তবে দাম অনেক বেশি। প্রতি কেজি করলা, বরবটি, পটলের জন্য গুণতে হবে ১০০ টাকার বেশি।

রাজধানীর নতুন বাজারে ৫ লিটার ও ১ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল মিলবে হাতেগোনা দোকানে। বাকি সবখানেই সরিষা আর রাইস ব্র্যান অয়েলের ছড়াছড়ি। জানা গেলো, কিছুদিন আগে ভোজ্যতেলের দর লিটারে ৮ টাকা বাড়ানো হলেও খুশি নন উৎপাদকরা। তাই আবারও দর সমন্বয়ে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরির চেষ্টা।

এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে আরও চড়েছে চালের বাজার। বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট ৮০-৮৪ টাকা, আটাইশ ৫৮-৬০ টাকা, মোটা স্বর্ণা ৫২-৫৬ টাকা, নাজিরশাইল ৭৬-৮৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি পোলাও চাল বিক্রি হচ্ছে ১১৬-১১৮ টাকায়।

সর্বশেষ সংবাদ

জাতিসংঘ মহাসচিবকে নিরাপত্তা দেবে এসএসএফ

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে আগামী ১৩ মার্চ বাংলাদেশে আসছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। বাংলাদেশে চার দি‌নের সফরে...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ