সকালের নাশতায় ডিম একটি চমৎকার খাবার, যা প্রায় প্রতিদিনই আমাদের খাবারের তালিকার সৌন্দর্য বাড়ায়। পুষ্টিগুণে ভরপুর এ খাবার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এটি প্রোটিন, ভিটামিন ও স্বাস্থ্যকর চর্বিতে ভরপুর। তাছাড়া হাড় ও পেশি শক্তিশালী করতেও ডিম খাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। ডিম বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। সেদ্ধ, ভাজা, পোচ এমনকি ডিমের পাতলা ঝোলও মন্দ লাগে না।
যে প্রকার পদ হোক, নিয়মিত ডিম খাওয়া জরুরি। তবে ডিম রান্নার সময় একটু সাবধান থাকা জরুরি। রান্নার ভুলত্রুটিতে ডিমের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
১. রান্নার সময় অনেক ক্ষেত্রেই ডিম ব্যবহার করা হয়। তবে ফ্রিজ থেকে সরাসরি বের করে ডিম ব্যবহার করবেন না। ফ্রিজে থাকা ডিম রান্নায় ব্যবহার করলে স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। সেইসঙ্গে ডিমের কোনো পুষ্টিগুণও বজায় থাকে না। তা ছাড়া ঠান্ডা ডিম ব্যবহার করলে কেক, কুকিজ ঠিক মতো রান্না হবে না। রান্নার প্রস্তুতির আগে ডিম ফ্রিজ থেকে বের করে রাখুন। ঘরের তাপমাত্রায় এলে সেগুলো ব্যবহার করুন।
২. অল্প তেলে ডিম ভাজা কিংবা পোচ রান্নার সময় কড়াইতে সেগুলো লেগে যায়। কড়াই থেকে সহজে ডিম তোলা যায় না। তাই পোচ কিংবা ডিম ভাজার ক্ষেত্রে ননস্টিক প্যান ব্যবহার করলে ভালো। আর ডিম সেদ্ধ করার সময় উঁচু কানাওয়ালা ও গর্তবিশিষ্ট পাত্র ব্যবহার করুন। তাতে সুবিধা হবে।
৩. ডিম সেদ্ধ করার সময় কতক্ষণ ফোটাবেন তা অনেক সময় বোঝা যায় না। মোটামুটি সম্পূর্ণ সেদ্ধ ডিম পেতে চাইলে ১০-১২ মিনিট ডিম সেদ্ধ করুন। তারপর গরম পানিতেই ডিমগুলো অল্প সময় রেখে দিন। ভাপেই সেগুলো সেদ্ধ হয়ে যাবে। দীর্ঘসময় ধরে পানিতে ফোটালে কুসুমের স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়।