spot_img

মিয়ানমারে সেনাবাহিনীতে নিয়োগের যোগ্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

অবশ্যই পরুন

সেনাবাহিনীতে নিয়োগের যোগ্য এমন যেকোনও নাগরিকের বিদেশ ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সংঘাতে জর্জরিত মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন জান্তা। সরকারের অনুমতি ছাড়া ওই নাগরিকরা বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

চার বছর আগে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটিতে সেনাবাহিনী ক্ষমতায় আসার পর থেকে গৃহযুদ্ধ চলছে। তখন থেকে দেশজুড়ে জাতিগত সংখ্যালঘু সশস্ত্র গোষ্ঠী ও অন্যান্যদের সঙ্গে লড়াইয়ে একের পর এক অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ হারানোর পর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে জান্তা সরকার।

ক্ষমতায় আসার পর গত বছর দেশটির সেনাবাহিনী সৈন্য নিয়োগের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের একটি আইন কার্যকর করেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছানো জান্তা বাহিনী নতুন করে বাহিনীতে জনবল নিয়োগ করতে চায়। সামরিক শাসনের বিরোধিতায় গড়ে ওঠা পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ) ও জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো জান্তা সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করছে। এই লড়াইয়ে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে জান্তা বাহিনী।

গত মাসের শেষের দিকে একটি আইন পাস করেছে জান্তা সরকার। এই আইনে সেনাবাহিনীতে নিয়োগের যোগ্য ব্যক্তিদের ওপর নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী, যেসব পুরুষের বয়স ১৮ থেকে ৩৫ বছর এবং নারীর ১৮ থেকে ২৭ বছর তারা সরকারের অনুমতি ছাড়া দেশত্যাগ করতে পারবেন না।

আইনের ৫১ ধারায় বলা হয়েছে, ‘‘যে ব্যক্তি আদেশের আওতায় পড়বেন তাকে কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না।’’ নতুন এই নিষেধাজ্ঞা তাদের জন্য প্রযোজ্য হবে, যারা সেনাবাহিনীতে ডাক পেয়েছেন অথবা সামরিক পরিষেবা থেকে ছাড়, বরখাস্ত বা নিয়োগ স্থগিতের ঘটনায় আপিলের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছেন।

জান্তা সরকারের এই আদেশ অমান্য করা হলে তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। সেনাবাহিনীতে নিয়োগের এই আইন মিয়ানমারের সাবেক জান্তা সরকারের রচিত। তবে আইনটি গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে কার্যকর করা হয়। সামরিক পরিষেবা আইনে বাহিনীতে নিয়োগের জন্য ডাক পাওয়া ব্যক্তিদের কমপক্ষে দু’বছর দায়িত্ব পালনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

তবে জরুরি অবস্থা চলাকালীন বাহিনীতে কাজ করার এই বাধ্যবাধকতা পাঁচ বছর পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও আইনে বলা হয়েছে। কেউ এই আইন উপেক্ষা করলে তার একই মেয়াদের জন্য কারাদণ্ডের বিধানও রয়েছে আইনে।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা জারি রয়েছে। গত শুক্রবার দেশটির জান্তা সরকার জরুরি অবস্থার মেয়াদ আগামী ছয় মাসের জন্য বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে। দেশে ব্যাপক অজনপ্রিয় হয়ে পড়া সামরিক বাহিনীর ডাক এড়াতে কয়েক হাজার যুবক মিয়ানমার ছেড়ে পালিয়ে গেছেন বলে স্থানীয় মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো জানিয়েছে।

সূত্র : এএফপি।

সর্বশেষ সংবাদ

৮ ফেব্রুয়ারি সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ হবে

আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) ছয়টি সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ