উন্নত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মৌলিক পদার্থবিদ্যায় বিপ্লব আনবে এবং মহাবিশ্বের ভাগ্যে শেষ পর্যন্ত কী রয়েছে অথবা কী হবে সেটির দ্বার খুলে দিতে পারে এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বলে মনে করেন ইউরোপীয় পারমাণবিক গবেষণা সংস্থা সার্নের পরবর্তী মহাপরিচালক মার্ক থমসন।
সার্নের পরবর্তী মহাপরিচালক মার্ক থমসন মনে করেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) পার্টিকেল পদার্থবিদ্যায় অগ্রগতির পথ প্রশস্ত করছে।
অধ্যাপক মার্ক থমসন মূলত একজন ব্রিটিশ পদার্থবিজ্ঞানী। তিনি আগামী বছরের ১ জানুয়ারী সার্নের নেতৃত্ব গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। তিনি বলেন, লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার (এলএইচসি) হল বিশ্বের বৃহত্তম এবং সর্বোচ্চ-শক্তিযুক্ত কণা ত্বরণকারী। অবিশ্বাস্যভাবে বিরল ঘটনাগুলো সনাক্ত করার জন্য একই ধরণের কৌশল ব্যবহার করা হচ্ছে যা বিগ ব্যাংয়ের পরে প্রথম মুহুর্তে কণাগুলো কীভাবে ভর অর্জন করতে শুরু করেছিল এবং আমাদের মহাবিশ্ব একটি বিপর্যয়কর পতনের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিতে পারে কিনা তার মূল চাবিকাঠি নির্ণয়ে সক্ষম এআই।
থমসন বলেন, ‘এগুলো ক্রমবর্ধমান উন্নতি নয় বরং এগুলো খুবই বড় ধরনের সাফল্য। আর এই সাফল্য এসেছে মানুষের দ্বারা তৈরি উন্নত এআই-এর উদ্ভাবনের মাদ্ধমে।’
‘এআই আমাদের জন্য বেশ রূপান্তরকারী উদ্ভাবন হতে চলেছে। কারণ, এটা জটিল তথ্য, প্রোটিন ফোলডিং করার মতো অবিশ্বাস্যরকম জটিল সমস্যা সমাধান করতে পারে। এসব ক্ষেত্রে এআই কৌশল ব্যবহার করলে আপনি জিতবেন।
হিগস বোসন, যাকে ঈশ্বর কণা (গড পার্টিকেল) বলা হয়, তার অভূতপূর্ব পর্যবেক্ষণের অনুমতি দেবে এআই। এই গড পার্টিকেল মূলত অন্যান্য কণাকে ভর প্রদান করে এবং মহাবিশ্বকে একসাথে আবদ্ধ করে।
‘হিগস বোসন সম্পর্কে একটি নির্দিষ্ট পরিমাপ রয়েছে যা মহাবিশ্বের প্রকৃতির জন্য অত্যন্ত মৌলিক,’ থমসন বলেন। ‘আমরা যা দেখব তা হলো একই সময়ে একটি হিগস বোসন নয় বরং দুটি হিগস বোসন তৈরি করা।’
তিনি বলেন, এর ফলে বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো হিগস কণা কীভাবে নিজেকে ভর দেয় তা পরিমাপ করতে পারবেন, যাকে হিগস স্ব-সংযোজন বলা হয়।
দুটি হিগস বোসন একসাথে দেখা খুবই বিরল এবং কণাগুলি এতটাই অধরা যে অস্তিত্বে আসার সাথে সাথে আরও ক্ষুদ্র কণায় বিভক্ত হয়ে যায়। এসব বিশ্লেষণ পাঁচ বছর আগেও লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার (এলএইচসি)-এর ক্ষমতার বাইরে ছিলো। এখন আমি নিশ্চিত যে আমরা একটি ভাল পরিমাপ করতে সক্ষম হবো,’ থমসন আরও বলেন।
এমনভাবে চিন্তা করলে মহাবিশ্বের সমাপ্তি কীভাবে হবে তা দেখাতে পারবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বলে মনে করেন ব্রিটিশ এই পদার্থবিজ্ঞানী।