গাজার আহত ও অসুস্থ ফিলিস্তিনিদের চিকিৎসার জন্য মিশরে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে নয় মাস পর খুলে দেওয়া হলো রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) থেকে সীমান্তটি পুনরায় চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।
মিশরীয় টেলিভিশনের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্টের একটি অ্যাম্বুলেন্স সীমান্তের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং বেশ কয়েকজন শিশুকে স্ট্রেচারে করে মিশরের অ্যাম্বুলেন্সে স্থানান্তর করা হচ্ছে।
এই মাসের শুরুতে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে রাফাহ ক্রসিং পুনরায় চালু করা হয়েছে। ইসরায়েলের হাতে বন্দি থাকা শেষ নারী ফিলিস্তিনিদের মুক্তির পর সীমান্ত খুলতে সম্মত হয় দেশটি।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলার পর গাজায় যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েল। টানা ১৫ মাসের সংঘাতে ইসরায়েলি হামলায় ৪৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হাসপাতাল পরিচালক মোহাম্মদ জাকৌত জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ৬ হাজারেরও বেশি রোগীকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে আরও ১২ হাজার রোগীর জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন।
রাফাহ ক্রসিং পয়েন্ট হলো মিশর ও গাজার মধ্যে একমাত্র সীমান্ত পারাপার পথ। ২০২৪ সালের মে মাসে ইসরায়েলি বাহিনী এটি দখল করার পর থেকে বন্ধ ছিল। যুদ্ধের আগেও ফিলিস্তিনিরা এই সীমান্তের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভর করত, বিশেষ করে ক্যানসারসহ জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসার জন্য ভূখণ্ডের বাইরে যাওয়ার অনুমতির ক্ষেত্রে।
ইসরায়েল বরাবরই দাবি করে আসছে, হামাস অস্ত্র পাচারের জন্য সীমান্তটি ব্যবহার করে। তবে মিশর এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
রাফাহ সীমান্ত খুলে দেওয়ায় আহত ফিলিস্তিনিদের চিকিৎসার নতুন সুযোগ তৈরি হলো, যা গাজার মানবিক সংকট কিছুটা হলেও লাঘব করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।