কয়েক ঘণ্টা বিলম্বের পর গতকাল রামাল্লায় ইসরায়েলি বন্দিশালা থেকে ৬০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয়া হয়। তাদের মুক্তি দেয়ার পরই সেখানে এক আনন্দগণ পরিবেশ সৃষ্টি হয়। ফিলিস্তিনিদের মাঝে এক অপরকে জড়িয়ে ধরার দৃশ্য দেখা যায়।
এই ৬০ জনের মধ্যে মুক্তি পেয়েছেন ৪৭ বছর বয়সী হুসেইন নাসের। দীর্ঘ ২২ বছর পর তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। ২০০৩ সালে দ্বিতীয় ফিলিস্তিনি ইন্তিফাদার সময় তাকে আটক করে ইসরায়েল বাহিনী।
ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর হুসেইন নাসের ২২ ও ২১ বছর বয়সী মেয়ে হাদেয়া এবং রাগাদের সঙ্গে দেখা করেন। দুজনেই তাদের নিজস্ব শহর নাবলুসের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরেছিলেন।
দুই তরুণী জানান, ‘বাবাকে ছাড়া তারা যেভাবে বেঁচে ছিলেন তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। বাবাকে জীবনের প্রথম বার স্পর্শ করতে যাচ্ছি। প্রথমবার তাকে জড়িয়ে ধরতে যাচ্ছি।’
দুই তরুণী বলেন, যখন তার মা গর্ভবতী ছিলেন তখন ইসরায়েল বাহিনী তার বাবাকে ধরে নিয়ে যায়। একজন বাবা কেমন হয় তা হয়তো এবার আমরা বুঝতে পারব।
যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী গতকাল ইসরায়েলি কারাগার নারী ও শিশুসহ ১১০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। এসব ফিলিস্তিনিদের মধ্যে কিছু সংখ্যক সামান্য অপরাধে অপরাধী ছিলেন। বাকীদের কোনো অপরাধ ছিল না। ইসরায়েল বাহিনী তাদের জোর করে ধরে নিয়ে যায়।