জামিনে মুক্তির পর কারাফটকে আবারও গ্রেফতার হয়েছেন রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ। বুধবার রাত ৮টার দিকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর কারাফটকেই জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করেন।
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) রফিকুল ইসলাম জানান, গত ৪ আগস্ট মোহনপুর থানায় অগ্নিসংযোগ ও গাড়ি পোড়ানোর মামলায় কারাফটক থেকে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আগামীকাল আদালতে নেয়া হবে।
বাগমারা থানার দুটি মামলায় কারাগারে বন্দী ছিলেন আবুল কালাম আজাদ। সম্প্রতি হাইকোর্টে দুটি মামলাতেই তিনি জামিন পেয়েছেন। বুধবার জামিনের কাগজ কারাগারে পৌঁছালে তার মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়।
এমপি কালামের জামিনে মুক্তির বিষয়টি জানাজানি হলে বিকেল থেকেই কারাগারের বাইরের সড়কে অবস্থান নেন ছাত্রদল, যুবদল, মহিলা দল ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা। কারও কারও হাতে লাঠিশোটা ও ইটপাটকেলও দেখা যায়।
তবে বাইরে পুলিশের সদস্যরা সতর্ক অবস্থায় ছিলেন। রাত ৮টার দিকে কারাগারের প্রধান ফটক থেকে বের হলে ডিবি পুলিশ বাইরে অপেক্ষমান গাড়িতে তাকে তোলা হয়।
এ সময় আবুল কালাম আজাদকে উদ্বিগ্ন ও বিমর্ষ দেখাচ্ছিল। এসময় ছাত্রদল, যুবদল ও মহিলা দলের নেতাকর্মীরা বাধা দেয়ার চেষ্টা করেন। অনেকে গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে যান। দুই একজন ইটপাটকেলও ছোড়েন। এ সময় গাড়ির বাইরে থাকা পুলিশ সদস্যরা নেতাকর্মীদের সরিয়ে দিলে দ্রুত গাড়িটি ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। পরবর্তীতে গত ২ অক্টোবর রাতে র্যাব রাজধানীর মিরপুর শেওড়াপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
এমপি হওয়ার আগে আবুল কালাম আজাদ বাগমারার তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র ছিলেন। মেয়র থাকাকালে ঠিকাদারকে অতিরিক্ত ৩৩ লাখ ৬৫ হাজার ৬৬১ টাকা বিল পরিশোধ করার অভিযোগে গত ২১ জানুয়ারি কালামসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।