কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে দেশের বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও টেকনিক্যাল স্কুল-কলেজে জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (টেক) ও ফিজিক্যাল এডুকেশন ইন্সট্রাক্টর (দশম গ্রেড) পদে সাড়ে তিন হাজার জনের নিয়োগ স্থগিতের আদেশ চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছে আপিল বিভাগ। এর ফলে এই নিয়োগ কার্যক্রমে আর কোনো বাধা থাকছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।
আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই নির্দেশনা প্রদান করেন।
একই সঙ্গে, এ বিষয়ে জারি করা রুল ছয় সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগ তদন্ত করে তিন সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে সিআইডি।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, যাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
গত ২৭ জানুয়ারি হাইকোর্ট নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ এনে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরিচালিত এই নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করেন। একই সঙ্গে, এ নিয়ে রুল জারি করা হয়। বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এর আগে, নিয়োগ থেকে বঞ্চিত ১৮ জন পরীক্ষার্থী হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। তারা পরীক্ষায় জালিয়াতি ও প্রশ্নপত্র বিক্রির অভিযোগ তোলেন। গত ২৬ নভেম্বর সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে। এতে ৪৪টি ক্যাটাগরিতে মোট সাড়ে তিন হাজার প্রার্থীকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়।