spot_img

১ লাখ নথিবিহীন অভিবাসীকে ফেরত পাঠানোর লক্ষ্য নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

অবশ্যই পরুন

বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান জারি রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রশাসনসূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে ১ লাখ নথিবিহীন অভিবাসীকে নিজ নিজ দেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়াশিংটন; ভবিষ্যতে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারাভিযানের সময় রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী এবং যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশ থেকে নথিবিহীন ও অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। গত ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণের পর বেশ কয়েকটি নির্বাহী আদেশ স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প, সেসবের মধ্যে নথিবিহীন/অবৈধ অভিাবসীদের গ্রেপ্তার এবং তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো সংক্রান্ত আদেশও ছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার নথিবিহীন অভিবাসী রয়েছে এবং তাদের মধ্যে আপাতত ১ লাখকে ফেরত পাঠানোর লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। ২০ জানুয়ারি ট্রাম্প আদেশে স্বাক্ষর করার পর গত ৭ দিনে ২ হাজারেরও বেশি নথিবিহীন অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করে তাদের নিজ দেশে পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

এদিকে নথিবিহীন অভিবাসীদের গ্রেপ্তারে যে বিরতিহীন অভিযান শুরু করেছে দেশটির পুলিল ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা, তা একদিকে যেমন তীব্র ভীতি সৃষ্টি করেছে অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে, তেমনি আতঙ্ক উসকে দিচ্ছে বিভিন্ন ভিসায় যারা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন— তাদের মধ্যেও।

যুক্তরাষ্ট্রের যেসব অঙ্গরাজ্যে অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম টেক্সাস। রিপাবালিকান পার্টির অন্যতম এই ঘাঁটি রাজ্যটির সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে মেক্সিকোর। সেই সীমান্ত পাড়ি দিয়ে মেক্সিকো এবং মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার স্প্যানিশভাষী বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার অভিবাসী বর্তমানে বসবাস করছেন সেই রাজ্যটিতে, যাদের কাছে বৈধ নথি বা অনুমোদন নেই।

অবৈধ অভিবাসীদের রাখার জন্য টেক্সাসজুড়ে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি বৃহদাকৃতির বন্দিশালা তৈরি করা হয়েছে। সেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের গত মেয়াদে টেক্সাস-মেক্সিকো সীমান্তে যে দেওয়াল তৈরি শুরু হয়েছিল, সেই কাজও গতিশীল করা হয়েছে। ২০২০ সালের নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসার পর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ দেওয়ালের নির্মাণ বন্ধ ঘোষণা করেছিলেন।

টেক্সাসের অনেক স্থানীয় মার্কিনিও এক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করছেন, যা সেখানকার অভিবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

কয়েক দিন আগে টেক্সাসের একটি স্কুলের শিক্ষক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় লেখেন, “আমার স্কুলে এমন বহুসংখ্যক শিক্ষার্থী রয়েছে— যারা ইংরেজিতে কথা বলতে পারে না। এই শিক্ষার্থীদের সবাই দশম ও একাদশ শ্রেনীতে পড়ে এবং আমার সঙ্গে যোগাযোগের জন্য আইফোনের ট্রান্সলেটর ব্যবহার করে।”

তার এই পোস্টের পরপরই ওই স্কুলে অভিযান চালিয়ে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার কেরছে মার্কিন পুলিশ এবং ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট বাহিনীর সদস্যরা। পরে অবশ্য ব্যাপক সমালোচনার মুখে গ্রেপ্তারদের ছেড়েও দেওয়া হয়েছে।

বস্তুত, যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ নথিবিহীন অভিবাসীরা। নগর পরিচ্ছন্নতা, ভবন নির্মাণ ও অন্যান্য শ্রমভিত্তিক কাজের দেশটিতে বর্তমানে যত কর্মী রয়েছে, তাদের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি এই অবৈধ অভিবাসীরা। তাই এ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে যদি দীর্ঘ মেয়াদে অভিযান চালানো হয়, তাহলে তার সরাসরি প্রভাব দেশটির অর্থনীতিতে পড়বে বলে জানিয়েছেন অনেক মার্কিন অর্থনীতিবিদ।

সূত্র : এএফপি, জিও টিভি

সর্বশেষ সংবাদ

রোজা শুরুর সম্ভাব্য তারিখ জানাল আরব-আমিরাত

মুসলমানদের পবিত্র মাস রমজান শুরুর সম্ভাব্য তারিখ জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব-আমিরাত। দেশটির গবেষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যে আগামী ৩১ জানুয়ারি...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ