গাজা উপত্যকায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭ হাজার ৩০৬ জনে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে আরও ১৪ জনের মরদেহ উদ্ধারের পর এই সংখ্যা প্রকাশ করা হয়েছে।
চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে একের পর এক লাশ উদ্ধার হচ্ছে। এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় আহতদের মধ্যে পাঁচজন সম্প্রতি মারা গেছেন। সর্বশেষ হামলায় আরও ১১ জন আহত হওয়ায় মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার ৪৮৩ জনে।
গাজায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ১১ হাজারেরও বেশি মানুষ। জাতিসংঘের তথ্যমতে, ইসরায়েলি হামলার কারণে গাজার ৮৫ শতাংশ জনগণ বাস্তুচ্যুত এবং প্রায় ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে।
যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যে রয়েছে বন্দি বিনিময়, স্থায়ী শান্তি স্থাপন এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর প্রত্যাহার। তবে জাতিসংঘের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েল এই অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে তার আক্রমণ চালিয়ে যায়।
গাজার পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা হয়েছে। গাজা উপত্যকার ৬০ শতাংশ ধ্বংস এবং ব্যাপক প্রাণহানি এই সংকটকে আরও গভীর করেছে।
জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে।