সামরিক আইন জারির জেরে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ দায়ের করা হলো দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের বিরুদ্ধে। আজ রোববার (২৬ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এমনটা জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও সামরিক আইন জারির ব্যর্থ প্রচেষ্টার জেরে গত সপ্তাহে আটক করা হয় দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে। প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্ত করছিলো দেশটির দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা করাপশন ইনভেস্টিগেশন অফিস (সিআইও)। রোববার সংস্থাটির তদন্তের তথ্যের ভিত্তিতে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ইউনের বিরুদ্ধে।
গেলো কয়েক দশক ধরে দক্ষিণ কোরিয়ায় কোনো অপরাধীর বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর না হলেও অভিযোগ প্রমানিত হলে আজীবন কারাদণ্ড এমনকি মৃত্যদণ্ডও হতে পারে অভিসংসিত প্রেসিডেন্টের।
উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে হঠাৎ করে দেশে সামরিক আইন জারির চেষ্টার পর বিদ্রোহের মুখোমুখি হন ইউন সুক ইওল। কিন্তু জনগণের তীব্র প্রতিবাদের মুখে মাত্র ছয় ঘণ্টার মাথায় তিনি এ আদেশ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন।
এর জেরে গত ১৪ ডিসেম্বর ইউনকে দেশটির পার্লামেন্ট থেকে অভিশংসন করা হয় এবং প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। রাষ্ট্রদ্রোহ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্ত শুরু হয়। অনেক নাটকের পর গত ১৫ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট ইউনকে গ্রেফতার করা হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো তিনিই কোনো ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট, যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।