মিয়ানমার সরকারের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড চীনের ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে সীমান্ত জালিয়াতি কার্যক্রমের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন নিয়ে আলোচনা করতে থাই সামরিক প্রতিনিধিদলের সাথে আলোচনা করেছেন।
মঙ্গলবার নেপিদোতে মিয়ানমার সরকারের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড সো উইন ও থাই সেনাবাহিনীর প্রতিবেশী দেশ সমন্বয় কেন্দ্রের প্রধান জেনারেল দিরেক বংকার্নের নেতৃত্বে একটি থাই প্রতিনিধিদল বৈঠক করেন। মিয়ানমারের গণমাধ্যম ইরাবতির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জান্তা মিডিয়া জানায়, উভয়পক্ষ সীমান্তে মানবপাচার ও অনলাইনে জালিয়াতি মোকাবেলায় সরকার ও সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, সীমান্ত স্থিতিশীলতার জন্য তথ্য বিনিময় এবং ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাদের সফর বিনিময় নিয়ে আলোচনা করেছে।
চীনা অপরাধী সিন্ডিকেট পরিচালিত জালিয়াতি কেন্দ্রগুলোর কেন্দ্রস্থল হিসেবে মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী শহর মায়াবতি এই মাসের শুরুতে মানব পাচারের জন্য আবারো শিরোনামে আসার পর এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
চীনা অভিনেতা ওয়াং জিংকে থাইল্যান্ডে প্রলুব্ধ করে সীমান্ত পাচার করার পর মায়াবতির একটি জালিয়াতি কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ নিতে বাধ্য করার ঘটনা চীনে ভাইরাল হয়ে যায়। ফলে থাইল্যান্ডে চীনা পর্যটকদের বুকিং বাতিলের প্রবণতা দেখা দেয়। চীনের দূতাবাসগুলো ভ্রমণ সতর্কতা জারি করে। এদিকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই সীমান্ত জালিয়াতি দমনে আসিয়ান দেশগুলোর সহযোগিতার আহ্বান জানান।
চীনের ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে, জান্তা সরকারের পরিবহন ও যোগাযোগমন্ত্রী মায়া তুন ও গত সপ্তাহে ব্যাংককে অনুষ্ঠিত আসিয়ান ডিজিটাল মন্ত্রীদের বৈঠকে ট্রান্সন্যাশনাল কল সেন্টার গ্যাং মোকাবেলায় থাইল্যান্ডের সাথে সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দেন।
তবে সোমবার সরকার একটি বিবৃতি জারি করে ইঙ্গিত দেয় যে থাইল্যান্ড সীমান্ত জালিয়াতির কম্পাউন্ডগুলোকে বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট এবং তাদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য জিনিস সরবরাহ করছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদসংস্থা সিনহুয়া জানায়, পরের দিন চীনের কুনমিংয়ে ল্যানকাং-মেকং ইন্টিগ্রেটেড ল এনফোর্সমেন্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি কোঅপারেশন সেন্টারের এক বৈঠকে মিয়ানমার, চীন, লাওস, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম টেলিকম জালিয়াতি এবং সীমান্ত অপরাধের বিরুদ্ধে তাদের দ্বিতীয় ধাপের অভিযান শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়।