ব্রাজিলে দাবানলে মোট ৩০ দশমিক ৮ মিলিয়ন হেক্টরের বেশি এলাকা পুড়ে গেছে যা ইতালির মোট আয়তনের চেয়েও বেশি।
বুধবার এক পর্যবেক্ষণ সংস্থার বরাত দিয়ে রিও ডি জেনেইরো থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
পর্যবেক্ষণ প্ল্যাটফর্ম ম্যাপবায়োমাস জানিয়েছে, ২০২৪ সালে ব্রাজিলে প্রায় ৩০ দশমিক ৮ মিলিয়ন হেক্টর গাছপালা পুড়ে গেছে, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৭৯ শতাংশ বেশি।
দক্ষিণ আমেরিকায় এ বছর ৩ হাজার ৪৬ হাজারেরও বেশি অগ্নিকাণ্ডের স্থান রেকর্ড করা হয়েছে, যা ২০০৭ সালের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। ব্রাজিল ও বলিভিয়া হাজার হাজার অগ্নিনির্বাপক কর্মী মোতায়েন করেছে, চরম আবহাওয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করছে। আগুনের ধোঁয়া আকাশকে অন্ধকার করে দিচ্ছে, সাও পাওলো এবং লা পাজের মতো শহরগুলোতে বাতাসের মান খারাপ করছে।
ব্রাজিলের আমাজন রেইনফরেস্ট থেকে বিশ্বের বৃহত্তম জলাভূমি হয়ে বলিভিয়ার শুষ্ক বন পর্যন্ত দক্ষিণ আমেরিকা আগুনের কবলে পড়ছে, যা ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক বছরে দেখা দাবানলের সংখ্যার পূর্ববর্তী রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
ব্রাজিলের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইনপে কর্তৃক বিশ্লেষণ করা স্যাটেলাইট ডেটা দক্ষিণ আমেরিকার ১৩টি দেশে এ বছর এ পর্যন্ত ৩,৪৬,১১২টি অগ্নিকাণ্ডের স্থান রেকর্ড করেছে, যা ১৯৯৮ সাল থেকে শুরু হওয়া একটি ডেটা সিরিজে ২০০৭ সালের ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৩২২টি অগ্নিকাণ্ডের স্থানের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে।
অস্বাভাবিক গরম এবং শুষ্ক আবহাওয়া দাবানলের তীব্রতা ৪০ শতাংশ বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে। এল নিনোর প্রভাবে বৃষ্টিপাতের ধরন পরিবর্তন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে গড় তাপমাত্রার চেয়ে বেশি তাপমাত্রা এবং বন উজাড়ের ফলে আর্দ্রতা হ্রাস এই সবই ব্রাজিলের ‘ব্যতিক্রমী খরা’র কারণ, যা খরার তালিকায় শীর্ষে রয়েছে এবং ৭০ বছরের মধ্যে দেশটির দেখা সবচেয়ে খারাপ খরা।
সূত্র : এএফপি