সুন্দরবনে চোরা শিকারিদের দৌরাত্ম্য রোধে ১১ দফা পরিকল্পনা নিয়ে অভিযান শুরু করেছে বন বিভাগ। হরিণ শিকার বন্ধ এবং চোরাচালান দমনে বন বিভাগের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যৌথভাবে কাজ করছে।
সুন্দরবন খুলনা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক শরিফুল ইসলাম জানান, হরিণ শিকারের বিষয়ে শূন্য সহনশীলতা নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, “শিকারিরা যাতে হরিণ শিকারে সফল না হয়, সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। হরিণের মাংস ক্রেতা, বিক্রেতা ও শিকারিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে।”
বন বিভাগের কর্মপরিকল্পনা:
১. নতুন করে হরিণ শিকারিদের তালিকা তৈরি।
২. হরিণের মাংসের সম্ভাব্য ভোক্তাদের চিহ্নিত করা।
৩. লোকালয় এবং বনাঞ্চলে নিয়মিত টহল।
৪. শিকারের ফাঁদ শনাক্ত করে তথ্য সংগ্রহ।
৫. অপরাধ উদ্ঘাটনের পর দ্রুত মামলা দায়ের।
৬. প্রতিদিন টহলের অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা।
৭. স্থানীয় জনগণকে সচেতন করতে সভার আয়োজন।
৮. গোপন তথ্যদাতাদের পুরস্কৃত করার ব্যবস্থা।
৯. মাছ ও কাঁকড়া ধরার অনুমতিপত্রধারীদের পর্যবেক্ষণ।
১০. অভয়ারণ্য এলাকায় অননুমোদিত প্রবেশ বন্ধ।
১১. ভ্রাম্যমাণ টহলের জন্য লঞ্চ ব্যবহারের পরিকল্পনা।
খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো জানান, শিকারিদের পাশাপাশি হরিণের মাংস ক্রেতা ও তাদের সহায়তাকারীদের তালিকা করা হচ্ছে। এদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
গত এক বছরে খুলনার কয়রা উপজেলা থেকে বন বিভাগ ৩৩৪ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করেছে। সর্বশেষ, গত বুধবার সত্যপীরের খাল এলাকা থেকে ৮০ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ৩ জানুয়ারি ৩৪ কেজি হরিণের মাংসসহ একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এ অভিযানে বন বিভাগের পাশাপাশি স্থানীয় জনগণকেও সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।